মঙ্গলবার, ৩ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

গাছ লাগানোই তার কাজ

কামরুজ্জামান সোহেল, ফরিদপুর

গাছ লাগানোই তার কাজ

অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী একজন বৃক্ষপ্রেমীর নাম ড. এম এম কামরুজ্জামান। ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপণ করে তিনি এ সাফল্য লাভ করেছেন। তিনি এ পর্যন্ত ৫ হাজার ৩৪৭টি গাছ রোপণ করেছেন। গত এক বছরে মাত্র ৬০০ আম গাছ থেকে সব ধরনের খরচ বাদে তিনি ২২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা আয় করেছেন। তার এ সফলতা তাক লাগিয়ে দিয়েছে গোটা এলাকার মানুষকে। তার ওই আমবাগানের সাফল্য দেখে গোটা এলাকার মানুষ মুগ্ধ। অনেকেই গাছের চারা রোপণে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। এভাবে একটি গ্রাম এখন সবুজের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। পেশাগতভাবে তিনি মসলা গবেষণা উপকেন্দ্র ফরিদপুরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা। নিজেকে বৃক্ষসেবায় নিবেদন করতে চান। শুধু বৃক্ষপ্রেমী নন, পেশাগতভাবেও তিনি একজন সফল বৃক্ষ চাষি। ফরিদপুর মসলা গবেষণা উপকেন্দ্রে আসার পর সেখানেও তিনি বিভিন্ন প্রজাতির মসলাসহ ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছে ভরে তুলেছেন গোটা প্রাঙ্গণ। মসলা গবেষণা উপকেন্দ্রে সব ধরনের মসলা গাছ রয়েছে। ১৯৯৪ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নার্সারি থেকে চিটাগাং সেগুন নামক গাছের দুটি চারা কিনে রোপণের মধ্য দিয়ে তার সবুজ জগতের যাত্রা শুরু হয়। এর পর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তিনি বিভিন্ন সময় উন্নত জাতের ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা সংগ্রহ করে নিজের জমিতে রোপণ করেন। বিভিন্ন সময় তিনি রাস্তার দুই পাশে চারা রোপণ করেছেন। শত শত চারা বিতরণ করেছেন মানুষের মধ্যে। মসলা গবেষণা উপকেন্দ্র, ফরিদপুরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এম এম কামরুজ্জামানের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কোনো দেশের মূল ভূখণ্ডের শতকরা ২৫ ভাগ বন থাকা প্রয়োজন।

কিন্তু আমাদের দেশে বনের হার ১৬ ভাগ, যা পরিবেশের জন্য চরম হুমকি। তাই আমার অবস্থান থেকে কিছু করতে চাই।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি চাই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সবাইকে সচেতন করতে। সবাই সচেতন হলে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষিত হবে।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর