শনিবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

পুলিশ কর্মকর্তা ও ছাত্রলীগ নেতার কাণ্ড মধ্যরাতে!

নিজস্ব প্রতিবেদক

দায়িত্ব পালনের সময় এশিয়ান টিভির সিনিয়র রিপোর্টার নুরে আলম ও ক্যামেরাম্যান দিদার হোসেনকে মারধর করেছে ঢাকা জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মশিউর রহমান। এ সময় তার সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কর্মী আতিকুল বাশারও ছিলেন। তিনিও ওই দুজনকে মারধর করেন। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে শাহবাগে পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে এ ঘটনা ঘটে। পরে এশিয়ান টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক সেলিম খান শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। পুলিশ জানায়, ঘটনার সময় পুলিশ কর্মকর্তা ও ছাত্রলীগ কর্মী মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন।

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকা জেলার পুলিশ সুপারকে বিষয়টি তদন্ত করতে বলা হয়েছে। তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শাহবাগ থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক বলেন, মোটরসাইকেলে থাকা পুলিশ কর্মকর্তা ও ছাত্রলীগ কর্মী দুজনই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। টেলিভিশনের সাংবাদিকরা তাদের ছবি নিচ্ছিলেন। একপর‌্যায়ে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওই দুই সাংবাদিককে মারধর করেন। পুলিশ জানায়, সাদা পোশাকে একটি মোটরসাইকেলে ছিলেন এএসপি মশিউর। আর মোটরসাইকেলটি চালাচ্ছিলেন ছাত্রলীগ কর্মী আতিকুল। তল্লাশি চৌকির সামনে এলে পুলিশ মোটরসাইকেলটি থামায়। সেখানে আগে থেকেই নিরাপত্তা নিয়ে ওই দুই সাংবাদিক ছবি নিচ্ছিলেন। পুলিশের সঙ্গে কথাও বলছিলেন। মোটরসাইকেল আরোহী দুজনের ছবি নেওয়ার সময় মশিউর ও আতিকুল তাদের ওপর চড়াও হন। পুলিশ বাধা দিলে তাদের ওপরও চড়াও হন। পরে তাদের প্রথমে শাহবাগ থানায় এবং পরে পাকস্থলী ওয়াশ করার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর এএসপি মশিউরকে ঢাকা জেলা পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হয়। আহত সাংবাদিক নুরে আলম বলেন, তারা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে ফিরছিলেন। ঢাকার নিরাপত্তা নিয়ে তাদের আরও একটি প্রতিবেদন করার কথা ছিল। এ জন্য শাহবাগের তল্লাশি চৌকির ফুটেজ নিচ্ছিলেন। সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা তাদের সহায়তা করছিলেন। এক পর‌্যায়ে প্রেস স্টিকারযুক্ত একটি মোটরসাইকেল থামিয়ে দুই আরোহীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছিলেন পুলিশ। তারা সেই ফুটেজ নিচ্ছিলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মোটরসাইকেল আরোহী পুলিশ কর্মকর্তাসহ ছাত্রলীগ নেতা তাদের মারধর করেন।

সর্বশেষ খবর