শনিবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

ফলের বাহারি বাগান ছাদে

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

ফলের বাহারি বাগান ছাদে

‘ডাকে পাখি খোলো আঁখি, দেখ সোনালি আকাশ- বহে ভোরেরও বাতাস।’ গানের কথার মতো এত সুন্দর সকালের আয়োজন নগর জীবনে কল্পনা মাত্র। তবে কুমিল্লা নগরীর দক্ষিণ চর্থা এলাকার দেলোয়ারা বেগম রচনা করেছেন নান্দনিক দৃশ্যপট। চার তলার বাসার ছাদে তিনি বড় বাগান করেছেন। সেখানে গাছে গাছে পাখি বসে। ভোরের মৃদু হাওয়া বয়। ফজরের নামাজ পড়ে তিনি বাগানে চলে আসেন। পাখির ডাক শোনেন, ফুলের গন্ধ নেন। মৃদু ভোরের হওয়ায় গাছের পরিচর‌্যা করেন। এভাবে প্রতিটি সকাল শুরু হয়। তার বাসার নাম বাঁধন। তবে কোনো নামফলক নেই। গাছের কারণে বাড়িটি সবাই চেনে। বাগানে রয়েছে হরেক রকম আম গাছ। তিনি অধিকাংশ ফল প্রতিবেশীর মধ্যে বিতরণ করেন। তার স্বামী ইউনুস মজুমদার সম্প্রতি মারা গেছেন। ২০০২ সালে তিনি এ বাগান করেন।

তার ছয় মেয়ের অধিকাংশের বিয়ে হয়ে গেছে। তিনি অবসর কাটাতে বাগানে চলে আসেন। মসলা, মাল্টা, সফেদা, বরই, আমলকী, আনার, নিম, পান, মেহেদি, গাঁদা, ডালিয়া, গোলাপ, গন্ধরাজ ফুলের সমারোহ। দেলোয়ারা বেগম বলেন, আনন্দের জন্য তিনি এ বাগান করেছেন। বিভিন্ন নার্সারিতে ঘুরে এসব গাছ সংগ্রহ করেন। তার দেখাদেখি এলাকার অন্যরাও বাসার ছাদে বাগান করছেন। সামাজিক বন বিভাগ কুমিল্লার বিভাগীয় কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, কুমিল্লা নগরীতে বাসার ছাদে বাগান করার বিষয়টি দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। উৎসাহীর সংখ্যা বাড়ায় বন বিভাগ ছাদে বাগান করা ব্যক্তিদের পুরস্কৃত করছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর