বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান পরিষদ ফরিদপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অলোক সেনকে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অলোক সেন দক্ষিণ ঝিলটুলির বাসায় ছিলেন। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে দুই যুবক তাকে বাসায় গিয়ে তার নাম ধরে ডাকাডাকি করে। এ সময় অলোক সেন বাসার বাইরে এলে যুবকরা অতর্কিতভাবে তার ওপর হামলা চালায়। দুর্বৃত্তরা অলোক সেনের দুই হাত ও পায়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। অলোক সেন এ সময় চিৎকার দিলে তার স্ত্রী শিখা ঘোষ এগিয়ে আসেন। এরপর দুর্বৃত্তরা অলোক সেনকে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে তাকে দ্রুত ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার সময় অলোক সেন জানান, আমার সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল না। কী কারণে আমার ওপর হামলা হলো আমি বুঝতে পারছি না। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. বদরুদ্দোজা আহমেদ জানান, প্রাথমিকভাবে আমরা তার চিকিৎসা দিয়েছি। এখনো তিনি শঙ্কামুক্ত নন। আমরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করেছি। অলোক সেনের স্ত্রী শিখা ঘোষ জানান, অলোক সেন দুপুরে বাসায় ফেরার পর বিকালে দুই যুবক তার নাম ধরে ডাকলে তিনি ঘরের বাইরে বের হন। পরে তার চিৎকার শুনে আমি এগিয়ে গেলে দুর্বৃত্তরা আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে পালিয়ে যায়। দুই যুবকের মুখ কালো কাপড় দিয়ে বাঁধা ছিল। কী কারণে তার ওপর হামলা হয়েছে বুঝতে পারছি না। ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন আহমেদ জানান, ঘটনার পর পরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করেছে। ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাদের খুঁজে বের করা হবে। তবে অলোক সেন কাউকে চিনতে পারেননি বলে আমাকে জানিয়েছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা) থানায় মামলা হয়নি।
