শিরোনাম
সোমবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

জলবায়ু উদ্বাস্তুকে দেখতে হবে মানবাধিকারের দৃষ্টিকোণে

নিজামুল হক বিপুল প্যারিস থেকে

জলবায়ু উদ্বাস্তুকে দেখতে হবে মানবাধিকারের দৃষ্টিকোণে

বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন ৩০ নভেম্বর শুরু হলেও আক্ষরিক অর্থে আজ থেকেই এ সম্মেলনের মূল অধিবেশন শুরু হচ্ছে। গতকাল সাপ্তাহিক ছুটির একদিন বিরতি দিয়ে আজ থেকে শুরু হচ্ছে প্যারিস সম্মেলনের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক। যেখানে সম্মেলনে যোগ দেওয়া ১৯৫ দেশের মন্ত্রীরা নিজ নিজ দেশের পক্ষে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতি, উদ্বাস্তু ইস্যু, অর্থনৈতিক ক্ষতিসহ সামগ্রিক বিষয়ে সুযোগ-সুবিধা আদায়ে রীতিমতো যুদ্ধ করবেন।

৩০ নভেম্বর বারাক ওবামা, ভূদিমির পুতিন, অ্যাঙ্গেলা মারকেল, ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদসহ বিশ্বনেতাদের উপস্থিতিতে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন শুরুর পর ছয় দিন বিভিন্ন পর্যায়ে টানা বৈঠক হয়েছে। বিশেষ করে ওই ছয় দিন এডিপি বৈঠকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেগুলো তুলে ধরে, সামগ্রিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় নিজেদের দাবি উত্থাপন করেছে। এডিপি বৈঠকের সারসংক্ষেপ তৈরি করে ৪০ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন তুলে দেওয়া হয়েছে কপ-২১ এর প্রেডিসডেন্ট ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লরেন ফাবিয়াসের হাতে। সেই প্রতিবেদনের আলোকেই আজ থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক। এই বৈঠকে বাংলাদেশও নিজেদের শক্ত অবস্থান তুলে ধরবে। বাংলাদেশ দলের সদস্য পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ উচ্চপর্যায়ের বৈঠক সম্পর্কে বলেন, মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে আমাদের অবস্থান, বাংলাদেশ কী চায়-সেসব বিষয় সঠিকভাবে উপস্থাপনের জন্য আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বাংলাদেশে যে ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে সেটির পাশাপাশি পুনর্বাসন, জলবায়ু উদ্বাস্তু, অর্থায়নসহ সব ক্ষেত্রেই সর্বোচ্চ স্বার্থ রক্ষায় আমরা কাজ করছি। তিনি বলেন, প্যারিস চুক্তিটি যাতে বাস্তবিক অর্থেই একটি আইনগত বাধ্যবাধকতার চুক্তি হয় সে জন্য অন্য সবার মতো আমরাও সোচ্চার থাকব। এদিকে গতকাল একটি সাইড ইভেন্টে এশিয়া, আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকা এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা জলবায়ুতাড়িত বাস্তুচ্যুতদের জন্য জাতিসংঘের বিশেষ নীতি সহায়তার দাবি করেছেন। কানকুন আলোচনার আলোকে জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত প্যারিস চুক্তিতে এ বিষয়ে বক্তব্য বা শর্ত উল্লেখের দাবি জানানো হয় ওই সেমিনার থেকে। সেমিনারে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য, সাবেক পরিবেশ ও বনমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পারিস চুক্তিতে জলবায়ু উদ্বাস্তুদের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বাংলাদেশ চেষ্টা করবে এবং জাতীয়, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন পর্যায়েও এই বিষয়টির সমাধানে সচেষ্ট থাকবে। তিনি ১৯৫১ সালের রিফিউজি কনভেনশন নতুন করে আবারও লেখার দাবি তুলেন সেমিনারে। ‘জলবায়ুতাড়িত বাস্তুচ্যুত : অধিকার এবং বাধ্যবাধকতা’ শীর্ষক ওই সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন ইক্যুইটিবিডির রেজাউল করিম চৌধুরী। মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সিএসআরএলের জিয়াউল হক মুক্তা। এতে বলা হয়, জাতীয়, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জলবায়ু উদ্বাস্তুর সমস্যা সমাধান করতে হবে মানবাধিকারের দৃষ্টিকোণ থেকে।

সর্বশেষ খবর