সোমবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা
আশুলিয়ায় ব্যাংক ডাকাতি

১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের আশুলিয়া শাখায় খুন করে ডাকাতির ঘটনায় ১১ জনকে আসামি করে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। আসামিরা হলো- বোরহান উদ্দিন, আল-আমিন, বাবুল সরদার, মিন্টু প্রধান, জসিম উদ্দিন, আবদুল বাতেন, মোজাম্মেল হক, উকিল হাসান, মাহফুজুল হক, পলাশ ও শাহজাহান জমাদার। এদের মধ্যে পলাশ পলাতক। আর নিহত আবদুল্লাহ আল বাকী ও আসিফ হোসেনকে অভিযোগপত্র থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছে।গতকাল ঢাকা মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতে এ দুটি অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। আসামিরা আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহারের অভিযোগ থাকায় ১১ জনের বিরুদ্ধে পৃথক আরেকটি অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘ আট মাস মামলার তদন্ত শেষে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দীপক চন্দ্র সাহা গতকাল বিকালে আদালতে ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ ঘটনায় জড়িত দুজন গণপিটুনিতে ও ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে। নিহত এ দুজনকেই অভিযোগপত্র থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ছিল আবদুল্লাহ আল বাকী। সে এক সময় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সঙ্গে যুক্ত ছিল। মতপার্থক্যের কারণে  সে জেএমবি থেকে বের হয়ে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়। এরপর সে ও তার সহযোগীরা অর্থ সংগ্রহে নামে। এরই ধারাবাহিকতায় তার নেতৃত্বে আশুলিয়ার ওই ব্যাংকে ডাকাতি করতে যায়।

চলতি বছরের ২১ এপ্রিল দুপুর আড়াইটার দিকে ওই ব্যাংকের কাঠগড়া শাখায় ডাকাতির সময় তারা গুলি করে, বোমা মেরে এবং ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ব্যাংকের ব্যবস্থাপকসহ প্রথমে তিনজনকে হত্যা করে এবং টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় জনতা ধাওয়া করে তাদের তিনজনকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে। আটজনকে গ্রেফতারের পর রাজধানীর গাবতলীতে ডিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আবদুল্লাহ আল বাকী মারা যায়।

প্রসঙ্গত, ব্যাংক কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম এ ঘটনায় খুনসহ ডাকাতি ও বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহারের অভিযোগে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা করেন।

সর্বশেষ খবর