সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

বিপিএলের ফাইনালে কুমিল্লা বরিশাল

ক্রীড়া প্রতিবেদক

বরিশাল বুলসের একাদশ দেখে থমকে যেতে হয়েছিল। দলের মূল ভরসা ক্রিস গেইলকে ছাড়াই বরিশাল খেলতে নামে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে। গেইল না থাকায় পাল্লাটা অবশ্য হেলেছিল সাকিব আল হাসানের রংপুর রাইডার্সের দিকে। কিন্তু এই সুবিধাটুকুকে কোনোভাবেই কাজে লাগাতে পারেননি সাকিবরা। কাজে লাগাতে দেননি বরিশালের সাব্বির রহমান রুম্মন। অসাধারণ ব্যাটিং করে শুধু জয়ীই করেননি বুলসকে, আগামীকাল ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের প্রতিপক্ষ হিসেবে মাঠে নামাও চূড়ান্ত করেন।  সাব্বিরের দুরন্ত ও শাহরিয়ার নাফিসের সময়োপযোগী ব্যাটিং কাল বরিশালকে ৫ উইকেটের অবিশ্বাস্য জয় উপহার দেন। উল্লেখ্য, কুমিল্লা প্রথম কোয়ালিফাইয়ার্সে ৭২ রানে রংপুরকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে সবার আগে। বরিশাল কাল মিরপুর জাতীয় স্টেডিয়ামে নামে আগের দিন ঢাকা ডাইনামাইটসকে হারানোর আত্মবিশ্বাস নিয়ে। রংপুর নামে কুমিল্লার বিপক্ষে হেরে। কালকের ম্যাচটি ছিল দুদলের ফাইনালে ওঠার লড়াই। এমন সমীকরণের ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করে রংপুর ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬০ রান করে। সর্বোচ্চ ৭৩ রান করেন ওপেনার লেন্ডল সিমন্স। ৫৭ বলের ইনিংসটিতে ছিল ৯টি বাউন্ডারি ছাড়াও ২টি ওভার বাউন্ডারি। অধিনায়ক সাকিব করেন ১০ বলে ১৩ এবং শেষদিকে আরেক ক্যারিবীয় ড্যারেন স্যামি ২৩ করেন মাত্র ১০ বলে ৩ চার ও এক ছক্কায়। ৩৯ রানে ৪ উইকেট নিয়ে বরিশালের সফল বোলার ছিলেন কেভিন কুপার। ১৬১ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে বরিশালের দুই ওপেনার সাজঘরে ফিরেন ১০ রানের মধ্যে। এরপর তৃতীয় উইকেট জুটিতে সাব্বির ও শাহরিয়ার যোগ করেন ১২৪ রান ১৩.৫ ওভারে। দারুণ খেলতে থাকা শাহরিয়ার ব্যক্তিগত ৪৪ রানে রান আউটের শিকার হন। এরপর অবশ্য সাব্বির টেনে নিতে ব্যস্ত ছিলেন। কিন্তু ব্যক্তিগত ৭৯ রানে সাজঘরে ফিরেন ডিপ মিড উইকেটে স্যামির দুর্দান্ত এক ক্যাচে। অথচ আউট হওয়ার দুই বল আগে স্যামির হাতেই জীবন পেয়েছিলেন ম্যাচসেরা সাব্বির। সাব্বির ফিরে যাওয়ার পর থমকে যায় বরিশালের রানের গতি। তাতে জয় অবশ্য বাধাগ্রস্ত হয়নি। তবে শেষদিকে কেভিন কুপার ৩ বলে দুই চার ও এক ডাবলসে ১০ রান তুলে দলকে ফাইনালে উন্নীত করেন। থিসারা পেরেরাকে উইনিং বাউন্ডারিটি মারার পর আরও ৩ বল বাকি ছিল।

সর্বশেষ খবর