বৃহস্পতিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

মহাসড়কে বন্ধ হয়নি নসিমন করিমন

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের সড়ক-মহাসড়ক থেকে অবৈধ নসিমন, করিমন ও সিএনজি অটোরিকশাসহ ঝুঁকিপূর্ণ থ্রি-হুইলার বন্ধ করা যায়নি। ফলে প্রায় প্রতিদিনই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। দেশের বিভিন্ন এলাকায় অনেকটা নির্বিঘ্নে এসব যান চলছে। পুলিশের অভিযানের সময় এসব যানের চলাচল সাময়িক বন্ধ থাকে। কিন্তু অভিযান থেমে গেলে আগের মতোই দাপটে চলাচল করে এসব যানবাহন। এসব ঝুঁকিপূর্ণ যানবাহনের জন্য মহাসড়কে আলাদা লেন চিহ্নিত করার কথা থাকলেও সেটিও বাস্তবায়ন করা যায়নি। গত মঙ্গলবার দেশের মহাসড়কগুলোতে কয়েকটি দুর্ঘটনায় একই পরিবারের নয়জনসহ ২১ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ট্যাংকলরি ও নসিমনের মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের নয়জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। মহাসড়কে দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে গত আগস্টের শুরুতে দেশের ২২টি মহাসড়কে থ্রি-হুইলার, অটোরিকশা, অটোটেম্পো, নসিমন, করিমন ও অযান্ত্রিক যানবাহনের চলাচল নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এর আগে ১ আগস্ট থেকে দেশের মহাসড়কে অটোরিকশা ও অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। সরকারি সিদ্ধান্তের পর পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও মহাসড়কে এসব ঝুঁকিপূর্ণ যানবাহন বন্ধ হয়নি। ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-টাঙ্গাইল ও কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহাসড়কে সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে তিন চাকার ছোট যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লা অংশের ১০০ কিলোমিটার এলাকা ও কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহাসড়কে কুমিল্লার ময়নামতি থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল পর্যন্ত প্রায় ৭০ কিলোমিটার এলাকায় অটোরিকশা চলাচল করছে। কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড ও সুয়াগাজী, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মিয়াবাজার, আদর্শ সদর উপজেলার নন্দনপুর, আলেখারচর ও ময়নামতি সেনানিবাস এলাকা এবং বুড়িচং উপজেলার ক্যান্টনমেন্ট বাজার এলাকায় মহাসড়কে নির্বিঘ্নে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও মোটর লাগানো রিকশা চলতে দেখা গেছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার পদুয়ার বাজার এলাকা থেকে সুয়াগাজী এলাকা পর্যন্ত অটোরিকশা চলছে। কুমিল্লার ক্যান্টনমেন্ট বাজার এলাকা থেকে পশ্চিমে নিমসার এলাকা পর্যন্ত সিএনজি অটো চলছে। বুড়িচংয়ের কাবিলা বাজারের সিএনজি অটোচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, পুলিশের অভিযানের ওপর লক্ষ্য করে গাড়ি চালাতে হয়। ধরা পড়লে জরিমানার সঙ্গে রয়েছে মারধর। তাই পুলিশকে সন্তুষ্ট করে গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নামতে হয়। নিষিদ্ধ তিন চাকার গাড়িগুলোকে যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া বেশি আদায় করতেও দেখা যায়।

ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুর অংশে অবাধেই চলছে থ্রি-হুইলার অটোরিকশা ও অটোটেম্পো, ইজিবাইক। নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার প্রথম দিকে কিছুদিন এগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চললেও এখন অভিযান না থাকায় মহাসড়কে এসব যান চলতে দেখা যায়।

সর্বশেষ খবর