শুক্রবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

টেকনাফে মিয়ানমারের নাগরিক টাঙ্গাইলে ৩ চরমপন্থি নিহত

বন্দুকযুদ্ধ

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

টাঙ্গাইল সদরের ওমরপুরে র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে চরমপন্থির আঞ্চলিক কমান্ডারসহ ৩ জন নিহত হয়েছেন। গতকাল ভোর ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির আঞ্চলিক কমান্ডার ওমর (২৮), সদস্য আবুল কাশেম (২৫) ও সাদ্দাম (৩০)।

র‌্যাব ১২ ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানি-৩ এর কমান্ডার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাবের দল ওই এলাকা ঘিরে ফেলে। এ সময় চরমপন্থিরা র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। র‌্যাবও পাল্টা গুলি চালালে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়ে ধরা পড়েন। পরে তাদের টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে ২টি ইটালিয়ান ৭.৬৫ পিস্তল, ২টি ম্যাগাজিন, ৭ রাউন্ড গুলি, ১টি এক্স-ডাবল ব্যারেল গান, ২টি ফায়ারিং কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। নিহতদের বিরুদ্ধে     ১১-১২টি হত্যা, অপহরণ, ডাকাতি ও অস্ত্র মামলা রয়েছে। কক্সবাজার প্রতিনিধি জানান, টেকনাফের নাফনদী সীমান্তে ইয়াবা পাচারকারী ও বিজিবির মধ্যে গুলিবিনিময় হয়েছে। এতে মোহাম্মদ দরবেশ (২০) নামে মিয়ানমারের নাগরিক মারা গেছেন। এ সময় উদ্ধার করা হয় ৩০ হাজার পিস ইয়াবা, নৌকা ও দুটি লম্বা কিরিচ। ঘটনাস্থল থেকে মো. সলিমুল্লাহ (১৮) নামের অপর পাচারকারীকে আহত অবস্থায় আটক করা হয়েছে। সে মিয়ানমারের আকিয়াব জেলার মংডু থানার ঢেইলপাড়ার দীল মোহাম্মদের ছেলে বলে জানা গেছে। গতকাল গভীর রাতে টেকনাফ সীমান্তের ৩ নম্বর স্লুইস গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিজিবি জানায়, তারা ৩ নম্বর স্লুইস গেট এলাকায় ওত পেতে থাকা অবস্থায় মিয়ানমার থেকে নৌকায় করে ইয়াবার চালান আসে। এ সময় বিজিবি ওই নৌকাকে চ্যালেঞ্জ করলে আরোহীরা গুলিবর্ষণ শুরু করে। বিজিবিও পাল্টা গুলি করলে দুই ইয়াবা পাচারকারী নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মিয়ানমারের দিকে পালিয়ে যায়। পরে তল্লাশি করে নৌকার মধ্যে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সলিমুল্লাহ ও দরবেশকে ৩০ হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয়। গুলিবিদ্ধদের চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দরবেশকে মৃত ঘোষণা করেন।

সর্বশেষ খবর