শুক্রবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

কৌশলী প্রচারে জামায়াত

শফিকুল ইসলাম সোহাগ

বগুড়ার কাহালু পৌরসভায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে রয়েছেন জামায়াত সমর্থিত জহুরুল ইসলাম বাদশা। তিনি কারাগারে থেকেই মেয়র পদে লড়ছেন। নারকেল গাছ প্রতীকে ছেয়ে গেছে নির্বাচনী এলাকা। এলাকায় পুরুষ সমর্থকদের বাদশার জন্য প্রকাশ্যে ভোট চাইতে খুব একটা দেখা যায় না। তবে  নারীরা ঘরে ঘরে যাচ্ছেন। সারা দেশে আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নেওয়া জামায়াতের প্রার্থীরা এ কায়দায়ই প্রচারাভিযান চালাচ্ছেন; প্রকাশ্যে তেমন আসছেন না। তবে তাদের সমর্থকরা প্রচার চালাচ্ছেন। রিকশা, অটোতে ক্যাসেট চালিয়ে বেশি চলছে জামায়াতের মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচারণা। কেন্দ্রের নির্দেশ অনুয়ায়ী এভাবে আত্মগোপনে থেকে হচ্ছে বলে ‘কাজ করা’ সূত্রগুলো জানিয়েছে। সূত্রমতে, নির্বাচনী প্রচারের জন্য প্রতি পৌরসভায় অন্তত ৫০ জন নারী ও শতাধিক পুরুষ কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাদের ওপর দায়িত্ব হলো— দাঁড়িপাল্লা প্রতীক না থাকায় ভোটাররা যাতে বিভ্রান্ত না হয় তা নিশ্চিত করা আর সমর্থকদের মনোবল অটুট রাখা। জানা যায়, ৪৬টি পৌরসভায় জামায়াতে ইসলামীর ৪৭ জন মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় জামায়াতের দুজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। ৪৬ প্রার্থীর মধ্যে ১১ জনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে বাতিল হয়ে যায়। এখন ৩৫টি পৌরসভায় জামায়াতের বৈধ প্রার্থী আছেন। কিন্তু ১৩ ডিসেম্বর সাতজন মেয়র প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। ফলে ২৮ পৌরসভায় জামায়াতের প্রার্থী রয়েছেন। জামায়াতের প্রার্থী থাকা পৌরসভাগুলো হচ্ছে— রাজশাহীর গোদাগাড়ী, মুণ্ডুমালা, কাটাখালী, নওহাটা ও কেশরহাট; নাটোরের নলডাঙ্গা; চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর, শিবগঞ্জ, নাচোল ও রোহনপুর; বগুড়ার কাহালু; জয়পুরহাট সদর এবং সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ। রংপুর বিভাগের নীলফামারীর জলঢাকা; দিনাজপুরের বীরগঞ্জ ও বিরামপুর এবং গাইবান্ধা সদর। সিলেট বিভাগের সিলেটের কানাইঘাট ও মৌলভীবাজারের বড়লেখা। চট্টগ্রাম বিভাগের নোয়াখালীর বসুরহাট ও চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড। ঢাকা বিভাগে ফরিদপুরের বোয়ালমারী এবং খুলনা বিভাগের যশোরের চৌগাছা; খুলনার পাইকগাছা; ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর; কুষ্টিয়ার মিরপুর; চুয়াডাঙ্গার জীবননগর ও দর্শনা। জানা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জের চার পৌরসভার তিনটিতেই জগ প্রতীক নিয়ে মেয়র পদে লড়ছে জামায়াত। একটিতে রয়েছে নারকেল গাছ প্রতীক। নবাবগঞ্জ পৌরসভায় প্রার্থী নজরুল ইসলাম জেলা জামায়াতের আমির। তিনি জগ প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। তাকে খুব একটা জনসম্মুখে দেখা যায় না। শিবগঞ্জ পৌরসভার প্রার্থী জাফর আলী জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি। তিনিও জগ নিয়ে লড়ছেন। একই মার্কা নিয়ে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন নাচোলের ডা. রফিকুল ইসলাম। তিনি পৌর জামায়াতের আমির। তারও প্রচার চলছে ক্যাসেটে। রোহনপুরে মিজানুর রহমানের প্রতীক নারকেল গাছ। জামায়াতের পৌর আমির তিনি। ভোটাররা বলছেন, জামায়াতের প্রার্থীরা হুটহাট করে প্রার্থীদের বাড়ি গিয়ে ভোট দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে আবার দ্রুত স্থান ত্যাগ করছেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর