শনিবার, ২ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

এবার ইউপি নির্বাচন

মার্চে ভোট, প্রস্তুতি নির্বাচন কমিশনের

গোলাম রাব্বানী

এবার ইউপি নির্বাচন

পৌরসভা নির্বাচনের আমেজ না কাটতেই দেশজুড়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। মার্চে দেশের সাড়ে চার হাজার ইউপিতে ভোট করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এদিকে পৌরসভার মতোই ইউপির চেয়ারম্যান পদে দলীয়ভাবে ভোট নেওয়া হবে। এতে ইসির নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা দলীয় প্রতীকে অংশ নিতে পারবেন। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্দলীয় ব্যক্তিদের অংশগ্রহণের সুযোগ থাকছে। অন্যদিকে বড় দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ-বিএনপিও ইউপিতে দলীয়ভাবে অংশ নিতে জোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইসি সূত্র জানিয়েছে, দেশজুড়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে নির্বাচনযোগ্য সাড়ে চার হাজার ইউপির হালনাগাদ তালিকা সংগ্রহ করেছে নির্বাচন কমিশন। চলতি বছর মার্চ থেকে ধাপে ধাপে ইউনিয়ন পরিষদের ভোট আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়েছে সাংবিধানিক এ সংস্থাটি। তবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো একই দিনেও সারা দেশে ভোট হতে পারে। এ জন্য চলতি মাসের শেষদিকে বা ফেব্রুয়ারির শুরুতে এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার জন্য নির্বাচন কমিশনের আনুষ্ঠানিক সভায় মত দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনাররা।

এ বিষয়ে একজন নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, পৌর নির্বাচন শেষ, এখন আমাদের মেয়াদোত্তীর্ণ ইউনিয়ন পরিষদের ভোট করতে হবে। এ জন্য ইসি সচিবালয়কে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি রাখতে বলা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদগুলোর মেয়াদ মার্চ থেকে জুলাই মাসের মধ্যে পূর্ণ হবে। সেক্ষেত্রে চলতি মাসে বা ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকেই তফসিল ঘোষণা করতে হবে বলে সম্প্রতি ইসির সভায় মত দিয়েছেন একজন নির্বাচন কমিশনার। ইসির একজন সহকারী সচিব জানান, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় গত ১ অক্টোবর ৪ হাজার ৫৫৩টি ইউনিয়ন পরিষদের তালিকা, শপথ ও পরিষদের প্রথম সভার তারিখসহ প্রয়োজনীয় তথ্য কমিশনে পাঠিয়েছে। এখন আমরা নির্বাচন উপযোগী ইউপিগুলোর তালিকা করছি। মামলা বা অন্য কোনো কারণে জটিলতা রয়েছে কিনা- সেসব তথ্যও তৈরি করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন অনুযায়ী, আগের নির্বাচনের পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার ছয় মাসের মধ্যে (মেয়াদ শেষের আগের ১৮০ দিন) নির্বাচন করতে হবে। পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের মেয়াদ থাকবে পরিষদের প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর। দেশে এ পর্যন্ত আটটি  ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হয়েছে। সর্বশেষ ২০১১ সালের মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত ভোট চলে।

তবে নতুন ভোটাররা পৌর নির্বাচনে ভোট দিতে না পারলেও ইউপি নির্বাচনে তাদের সেই সুযোগ হচ্ছে। ৩১ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের পর হালনাগাদ তালিকা দিয়েই এ নির্বাচন হতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন ইসি কর্মকর্তারা। এদিকে এ বছরের জুনের মধ্যে সাড়ে ৪ হাজার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন করার পরিকল্পনা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। স্থানীয় সরকারের সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এই নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে সম্প্রতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ বলেন, মামলাসহ সব ধরনের জটিলতা দূর করে এ নির্বাচন দেওয়া হবে। ২০১১ সালের মার্চে শুরু হয়ে জুনের মধ্যে সম্পন্ন হয় ৪ হাজার ৫০১টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর