শনিবার, ২ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা
প্রকৃতি

হাড়গিলা নয়ন-মনির পরিবারে অতিথি

মোস্তফা কাজল

হাড়গিলা নয়ন-মনির পরিবারে অতিথি

ঢাকা চিড়িয়াখানার বাসিন্দা হাড়গিলা নয়ন-মনির পরিবারে বইছে আনন্দের বন্যা। গত সোমবার এ পরিবারে নতুন দুই সদস্যের জন্ম হওয়ায় চিড়িয়াখানার কর্মকতা-কর্মচারীদের দৃষ্টি এখন হাড়গিলার বাচ্চাদের ঘিরে। হাড়গিলার কেয়ারটেকার হারুনুর রশিদ জানান, ডিম থেকে বাচ্চা ফোটার পর পরম সুখে দিন কাটছে হাড়গিলা দম্পতি নয়ন-মনির। এ পাখি বক পরিবারের সদস্য। মাথায় টাক ও গলায় কোনো পালক থাকে না। এ পাখির ডানাসহ দেহের উপরের অংশ ধূসর কালো ও নিচের অংশ সাদা রঙের হয়। এ পাখির পা লম্বা ও লালচে বর্ণের হয়। ওজন ৬ থেকে ৯ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। ঠোঁট প্রায় দুই ফুট লম্বা ও উচ্চতায় ছয় ফুট পর্যন্ত হয়। পাখিটি দুই ডানা মেলে দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এদের গলায় লম্বা থলের মতো বাহ্যিক ফোলা অংশ থাকে। পাশাপাশি ঘাড়ের উপরে ফুলের মতো গোলাপি স্ফীত চামড়া আছে। নদী, বিল, খাল ও হাওড় অববাহিকায় এ পাখি দেখা যায়। বাংলাদেশে বর্তমানে এ প্রজাতির পাখি অতি বিপন্ন তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। এক সময় বাংলাদেশে এর বিচরণ থাকলেও এখন অতীত। বর্তমানে মিয়ানমার, ভারত, নেপাল ও ভিয়েতনামে এর বসবাস। এ পাখির খাদ্য তালিকায় রয়েছে মাছ, ব্যাঙ, ইঁদুর, ছোট পাখি ও কীটপতঙ্গ। তিন বছর বয়সে হাড়গিলা প্রাপ্তবয়স্ক হয়। শীতকাল এ পাখির প্রজনন সময়। খড়কুটা ও চিকন শুকনা ডালপালা দিয়ে নিজেরা বাসা তৈরি করে। প্রজনন মৌসুমে একটি স্ত্রী পাখি ৩/৪টি ডিম পাড়ে। পুরুষ ও স্ত্রী প্রজাতির উভয়েই ডিমে তা দেয়। ডিম থেকে বাচ্চা ফুটতে ৩০-৩৫ দিন লেগে যায়। আবদ্ধ অবস্থায় এর আয়ুষ্কাল ৩৫ থেকে ৪০ বছর হয়। দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. এস এম নজরুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, প্রকৃতির বন্ধু হাড়গিলার দুই বাচ্চার জন্ম হয়েছে। নতুন দুই অতিথিকে বর্তমানে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর