শনিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

পাঁচ বছর পড়ে আছে দুই হাজার গাড়ি

মংলা বন্দর জেটি

শেখ আহসানুল করিম, বাগেরহাট

পাঁচ বছর পড়ে আছে দুই হাজার গাড়ি

মংলা বন্দরের জেটিতে খোলা আকাশের নিচে শুল্কায়নের জটিলতায় ৫ বছর ধরে পড়ে আছে প্রায় দুই হাজার আমদানিকৃত রিকন্ডিশন গাড়ি। ২০১০ সাল থেকে জেটিতে পড়ে থাকা গাড়িগুলো ছাড় করাতে আমদানিকারকরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। আমদানি হওয়ার পর থেকে এক মাস পর্যন্ত বন্দরে রাখার বিধান থাকলেও এত বছর ধরে বন্দর জেটিতে পড়ে থাকা এবং এনবিআরের সিদ্ধান্তহীনতার কারণে এসব গাড়িগুলোতে দেখা দিয়েছে যান্ত্রিক ত্রুটি। মংলা বন্দর সূত্রে জানা যায়, শুল্কায়নের জটিলতার কারণে ২০১০ সাল থেকে মংলা বন্দরে ১ হাজার ৯০০ গাড়ি পড়ে আছে। এসব রিকন্ডিশন গাড়ি শুল্কায়নের জটিলতায় মংলা বন্দর থেকে ছাড় করাতে আমদানিকারকরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। গাড়ি আমদানিকারকরা এ জটিলতার জন্য কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন। গাড়ি আমদানিকারকদের সংগঠন বারভিডার সভাপতি মো. আবদুল হামিদ শরিফ বলেন, দীর্ঘদিন গাড়িগুলো মংলা বন্দর জেটিতে পড়ে থাকায় যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিচ্ছে। গাড়িগুলো শুল্কায়নের এনবিআর সিদ্ধান্ত নিতে বিলম্ব করায় গাড়ি ছাড় করাতে এ অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আইনের মধ্যে থেকে ব্যবসায়ীদের ছাড় দিয়ে তাদের পুঁজি রক্ষা করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এ জটিলতার নিরসন করতে পারে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, গাড়ি থাকায় বন্দরের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। আমরা স্পেসের ভাড়া পাচ্ছি। যদিও গাড়ি আমদানি হওয়ার পর থেকে এক মাস পর্যন্ত বন্দরে রাখার বিধান রয়েছে। বিষয়টি কাস্টমস ভালো বলতে পারবে। তবে আমি চাই এ জটিলতার নিরসন হোক। তবে ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমার এ জটিলতা নিরসনের উদ্যোগ নিয়েছেন। আশা করছি, অচিরেই এ জটিলতার নিরসন হবে। অন্যদিকে দীর্ঘদিন পড়ে থাকা গাড়িগুলো পুলিশের ব্যবহারের জন্য দিতে প্রস্তাব করা হয়েছে     প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে। এদিকে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভায় গাড়িগুলোর শুল্ক-কর নির্ধারণ করে ৪ মাসের মধ্যে খালাসের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তা না হলে খালাস-ব্যর্থ গাড়িগুলো আইনানুগভাবে নিলামে বিক্রির ব্যবস্থা হবে। সরকারের সিদ্ধান্ত এবং বন্দরের গাড়ি শুল্কায়নের জটিলতার বিষয়ে বার বার যোগাযোগ করেও মংলা কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি। তবে বন্দরে পড়ে থাকা এসব গাড়ি আমদানিকারকরা বলছেন, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আইনের মধ্যে থেকে ব্যবসায়ীদের ছাড় দিয়ে জটিলতার নিরসন করতে পারে। মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ ও আমদানিকারকরা মনে করেন, অচিরেই শুল্কায়ন জটিলতার নিরসন হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর