মঙ্গলবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

বিদ্রোহী হলেই বহিষ্কার

ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগে প্রার্থী বাছাই শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে একক প্রার্থী নিশ্চিত করতে শুরু থেকেই হার্ডলাইনে যাবে আওয়ামী লীগ। দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিদ্রোহী প্রার্থী হলেই বহিষ্কার করা হবে। গতকাল দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ জানান, সদ্যসমাপ্ত পৌরসভা নির্বাচনে যে উপজেলা-জেলা সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন তারা এবারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই কমিটিতে থাকতে পারবেন না। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা না হলেও এখন থেকে প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া শুরু করতে তৃণমূলকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। হানিফ সাংবাদিকদের বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যারা দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হবেন কিংবা দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ড করবেন, তাদের দল থেকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হবে। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলের প্রার্থী বাছাই প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ইউপি নির্বাচনে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা দেবেন। আমরা প্রতিটি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাদের দ্রুত বৈঠক করে প্রার্থী বাছাই করে দলের প্যাডে কেন্দ্রে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পৌর নির্বাচনে যারা বিদ্রোহী প্রার্থী ছিল তাদের দল থেকে প্রাথমিকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের চূড়ান্ত বহিষ্কার কেন করা হবে না— এ জন্য কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে।

আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের সমন্বয়ক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে এ বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন রাশিদুল আলম, ডা. দীপু মনি, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, বি এম মোজাম্মেল হক, বীর বাহাদুর, মিসবা উদ্দিন সিরাজ, ড. আবদুর রাজ্জাক, অসীমকুমার উকিল, আবদুর রহমান প্রমুখ।

ভুলের দায়ভার কে নেবে? : ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের বক্তব্য নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মাহবুব-উল আলম হানিফ সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনার আট বছর পর তিনি স্বীকার করলেন, তারা এটা ভুল করেছেন। কিন্তু এ ভুলের জন্য দেশবাসীর যে ক্ষতি হয়েছে, শেখ হাসিনাকে কারা নির্যাতিত হতে হয়েছিল, সারা বিশ্বের কাছে শেখ হাসিনার সম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছিল ও অপমানিত হতে হয়েছিল তার দায়ভার কে নেবে? এ ভুলের দায়ভার এড়ানোর সুযোগ নেই। এ স্বীকারোক্তির মধ্য দিয়ে জাতির কাছে পরিষ্কার হয়েছে ১/১১ প্রেক্ষাপটে শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করার জন্য ষড়যন্ত্র ছিল।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর