শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা

এক মাসে ১০ খুন

রাজশাহী

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীতে গত এক মাসে ১০ জন খুন হয়েছেন। খুনিরা ধারালো অস্ত্রের সাহায্যে এসব ঘটনা ঘটিয়েছে। পুলিশ কাউকে ধরতে না পারলেও নিরীহ লোকজনকে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, গত ২৬ মার্চ দুর্গাপুর উপজেলার আমগ্রামে প্রেমিক যুগলকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা অবস্থায় পুলিশ উদ্ধার করে। এর মাত্র তিন দিনের মাথায় পানানগর গ্রামে নাসির প্রমাণিক (২৪) নামে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। ১ এপ্রিল নগরীর রাজপাড়া থানার চান্না সাঁকো নামক এলাকায় একটি ব্রিজের নিচের ড্রেন থেকে রাসেল আলী (৩০) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। ৯ এপ্রিল রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার সাঁইধারা গ্রামে রহিদুল ইসলাম (২৮) নামে এক ব্যক্তি খুন হন। এরপর ১৭ এপ্রিল সকালে রাজশাহী মহানগরীর উপকণ্ঠ বায়া ভোলাবাড়ী এলাকায় নিজ স্ত্রীকে জবাই করে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে আইনাল হক নামে এক ব্যক্তি। গত ২২ এপ্রিল রাজশাহী মহানগরীর হোটেল নাইস ইন্টারন্যাশনাল থেকে দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার হয়। পরদিন সকালেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এফ এম রেজাউল করিমকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর গত রবিবার বিকালে নিজ চেম্বারে গুলি করে হত্যা করা হয় রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক জিয়াউল হক টুকুকে। গত সোমবার ধারালো অস্ত্রাঘাতে আহত এক ব্যক্তি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে রাজশাহীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাজশাহী-২ (সদর) আসনের এমপি ও ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। তবে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার মো. শামসুদ্দিন বলেন, ‘রাজশাহীতে পর পর তিন দিন চারটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনাগুলো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে খুব বেশি প্রভাব ফেলেছে বলে আমি মনে করি না।

তবে ড. সিদ্দিকী হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি একটু আলাদা। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। এরই মধ্যে সন্দেহভাজন দুজনকে আমরা আটক করতে সক্ষম হয়েছি।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর