শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা

সাবেক দুই বিচারপতির ১৬৮ মামলায় পুনরায় শুনানি

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন ও আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীর কাছে রায় লেখার জন্য অপেক্ষায় থাকা ১৬৮ মামলা পুনরায় শুনানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ২ মের আপিল বিভাগের দৈনন্দিন কার্যতালিকায় এসব মামলা তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। গতকাল প্রকাশিত সুপ্রিমকোর্টের নিজস্ব ওয়েবসাইটে এ কার্যতালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ফলে ওই দুই বিচারপতি ১৬৮টি মামলায় স্বাক্ষর করতে পারবেন না। 

প্রধান বিচারপতির একান্ত সচিব মো. আনিসুর রহমান গতকাল বলেন, এসব মামলার পুনঃশুনানির বিষয়ে ২৬ এপ্রিল সিদ্ধান্ত হয়েছে।

গতকাল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ২ মের কার্যতালিকা থেকে দেখা যায়, প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের এক নম্বর বেঞ্চে ১৬৯ নম্বর থেকে ২৭৫ নম্বর পর্যন্ত   ১০৭টি মামলা পুনরায় শুনানি হবে। বাকি মামলাগুলো বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের দুই নম্বর বেঞ্চে শুনানি হবে।

উল্লেখ্য, এসব মামলায় আপিল বিভাগ রায় দিয়েছেন। প্রকাশ্য আদালতে সংক্ষিপ্ত রায় ঘোষণা করা হয়। তবে এসব মামলায় পুনরায় শুনানির সিদ্ধান্ত নেওয়ায় শুনানির পর আবার রায় ঘোষিত হবে। সেক্ষেত্রে আগের রায় বহাল থাকে কিনা সেটাই দেখার বিষয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের কাছে রায় লেখার জন্য ৭টি মামলা রয়েছে। আর আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীর কাছে রয়েছে ১৬১ মামলা। বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন অবসরে গেছেন গত বছর ১৬ জানুয়ারি। সে সময় পর্যন্ত তার কাছে ২৫টি মামলার রায় লেখার জন্য ছিল। এর মধ্যে তিনি ১৮টি মামলার রায় লিখেছেন। বাকিগুলো এখনো তার কাছে রয়েছে। যে সাতটি মামলায় তিনি রায় লেখেননি তার মধ্যে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সের মতো গুরুত্বপূর্ণ মামলাও রয়েছে। বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী অবসরে গেছেন একই বছরের ১০ অক্টোবর। এরপর তাদের কাছে অনেকগুলো মামলার রায় লেখার দায়িত্ব ছিল। এর মধ্যে তারা বেশ কিছু মামলার রায় লিখে তা জমা দেন। কিন্তু সর্বশেষ বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের কাছে রায় লেখার জন্য ৭টি মামলা রয়ে গেছে। আর বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরীর কাছে রয়ে গেছে ১৬১টি মামলা। জানা গেছে, এসব মামলার মধ্যে কিছু কিছু মামলার রায় লেখা সম্পন্নও হয়েছিল। তবে ওই দুই বিচারপতির লেখা আর কোনো রায় গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরই আলোকে গত ২৬ এপ্রিল ওই সব মামলায় পুনরায় শুনানির সিদ্ধান্ত হয় বলে জানা গেছে। এর পরই ওই সব মামলা কার্যতালিকাভুক্ত করা হয়েছে। নতুন করে শুনানির পর এসব মামলার ভাগ্য নির্ধারিত হবে।

সর্বশেষ খবর