বুধবার, ১৮ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বক্তারা

ষড়যন্ত্রকারীরা বিতাড়িত হবে, কারও নাক গলানো মেনে নেওয়া হবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক

শেখ হাসিনা আছেন বলেই, যুদ্ধাপরাধীর বিচার হচ্ছে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তবে পরাজিত শক্তির দোসররা এখনো ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। ষড়যন্ত্রকারীরা একদিন দেশ থেকে বিতাড়িত হবে। কারও নাক গলানো মেনে নেওয়া হবে না। শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে গতকাল বিকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। তারা আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কারও কাছে মাথা নত করেননি, শেখ হাসিনাও কারও কাছে মাথা নত করবেন না। শেখ হাসিনার কারণে দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়েছে। বাংলাদেশ কলঙ্কমুক্ত হয়েছে। বিধ্বস্ত দেশ থেকে আজকে বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হয়েছে বাংলাদেশ।

গতকাল ছিল আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩৫তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ ও সিনিয়র সাংবাদিক আবেদ খান। দলের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ ও অসীম কুমার উকিল সভা পরিচালনা করেন। অনুষ্ঠানে ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনার দেশে ফিরে আসাসহ তার কর্মময় জীবন নিয়ে তৈরি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন এবং দেশের গান পরিবেশন করা হয়।

আমির হোসেন আমু বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নিয়ে ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন শুধু একজন ব্যক্তির প্রত্যাবর্তন নয়, একটি জাতির প্রত্যাবর্তন। দেশে ফিরে তিনি বলেছিলেন— আমি নেত্রী হতে আসিনি-দুখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে এসেছি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু নানা রকমের ষড়যন্ত্র চলছে। এদের বিরুদ্ধে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। তোফায়েল আহমেদ বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে। শেখ হাসিনা যদি দেশে না ফিরতেন তাহলে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হতো না। যুদ্ধাপরাধীর বিচার সম্ভব হতো না। বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ আজকে উন্নয়নের রোল মডেল। কিন্তু এই উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে ষড়যন্ত্রকারীরা নানা চক্রান্ত শুরু করেছে। আজকে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে বিএনপি নেতারা ইসরায়েলের গোয়েন্দা বাহিনী মোসাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। তারা কঠিন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, শেখ হাসিনা কঠিনহস্তে সন্ত্রাসবাদ-জঙ্গিবাদ নির্মূল করছেন। এটা সারা বিশ্ব প্রশংসা করছে। শত বাধা থাকার পরেও যুদ্ধাপরাধীর বিচার সম্পন্ন হচ্ছে। কিন্তু ষড়যন্ত্র চলছে। যারা ষড়যন্ত্র করছে, তারা একদিন দেশ থেকে বিতারিত হবে।

স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত : শেখ হাসিনার ৩৫তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে তার সুন্দর জীবন ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দেশব্যাপী দোয়া, মিলাদ মাহফিল, শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন। রাজধানীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে এই শোভাযাত্রা শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক ও আশেপাশের এলাকা প্রদক্ষিণ শেষে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে শেষ হয়। সকালে বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদের কনফারেন্স রুমে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের কর্মসূচি পালন সম্পর্কে বিভিন্ন স্থান থেকে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর— গোপালগঞ্জ : দিবসটি উপলক্ষে গতকাল সকালে গোপালগঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ শহরে মিছিল বের করে। বিকালে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়। পিরোজপুর : দিনটি উপলক্ষে পিরোজপুরে জনসভা করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। এদিন বিকালে শহরের টাউন ক্লাব স্বাধীনতা মঞ্চে জেলা আওয়ামী লীগের আলোচনা সভাটিই জনসভায় রূপ নেয়। ঠাকুরগাঁও : ঠাকুরগাঁওয়ে এদিন আনন্দ র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে বলাকা সিনেমা হলের সামনে থেকে আনন্দ র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালি শেষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। মাদারীপুর : সকালে মাদরীপুর জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) : রায়পুর উপজেলা যুবলীগের উদ্যোগে জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। কালকিনি (মাদারীপুর) : দিবসটি উপলক্ষে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার উত্তর রমজানপুর বাজারের আনারননেছা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সর্বশেষ খবর