ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও  বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ বলেছেন, প্যাকেজ ভ্যাট বাতিল করে সবার জন্য ১৫ শতাংশ ভ্যাট করার উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। ব্যবসায়ী সমাজ শুরু থেকেই এর বিরোধিতা করে আসছে। আমাদের দাবি, সামর্থ্যের মধ্যে ভ্যাট চাই। ১৫ শতাংশ ভ্যাট খুব কম দেশেই আছে। এফবিসিসিআইর সাবেক এই সভাপতি নতুন ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ককর আইনের সমালোচনা করে বলেন, ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ককর বা এসডি আমাদের জন্য দরকারি রাজস্ব। এসডি না থাকলে দেশীয় শিল্প সুরক্ষা পাবে না। কিন্তু নতুন আইনে এসডি উঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অনেক দেশেই বহুস্তরের প্যাকেজ ভ্যাট চালু আছে। তবে কিছু দেশে ৮, ৯, ১০, ১২, ১৫ ও ১৭ শতাংশ পর্যন্ত ভ্যাট আদায় করা হয়। সে সব দেশে ভিন্ন ভিন্ন বাস্তবতা রয়েছে। আগামী ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের বাজেট সামনে রেখে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ আরও বলেছেন, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বার বার বলছেন, তিনি এবারও উচ্চাভিলাষী বাজেট দেবেন। আমি মনে করি, উচ্চাভিলাষী বাজেট বাস্তবায়নে কর লাগে। কিন্তু চাপ দিয়ে রাজস্ব আদায় হবে না। আমরা পুরানরাই বার বার কর দেই। নতুনরা কম দেন। কয়েক বছর আগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ঘোষণা দিয়েছিল, তারা ৫০ লাখ নতুন করদাতা চিহ্নিত করেছে। কিন্তু আজও তাদের করজালের আওতায় আনতে পারেনি। তাদের কাছ থেকে কর আদায়ের জোর দাবি করছি। তিনি বলেন, বাজেট বাস্তবায়নে মানুষকে চাপ দিয়ে রাজস্ব আদায় করা যাবে না। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন এই সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর যে সব বাজেট দিয়েছে, দেশের ব্যবসায়ী সমাজ তা ভালোভাবে গ্রহণ করেছেন। অতীত বাজেটের ধারাবাহিকতায় এবারও উন্নয়নমূলক বাজেট চাই।

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের এই চেয়ারম্যান দেশে চলমান রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার সুফল কাজে লাগাতে সরকারকে পরামর্শ দিয়ে বলেন, আমাদের বিনিয়োগ বাড়ানোর এখনই সুসময়। দারিদ্র্য বিমোচনে বিনিয়োগ দরকার। এ জন্য ভৌত-অবকাঠামো খাতে নজর দিতে হবে বেশি। বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ধনী-দরিদ্রের মধ্যে বৈষম্য কমানোর জন্য বিনিয়োগ হবে। যেভাবে দেশ এগোচ্ছে, যেভাবে প্রবৃদ্ধি বাড়ছে তা দেখে বিদেশিরা নিশ্চয়ই বিনিয়োগ করবে। এখানে ১৬ কোটি মানুষ বসবাস করে। যুবশক্তি আছে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আছে। কর্মঠ মানুষ আছে। সচেতন আছি। সুতরাং আমরা এগিয়ে যাবই।