শুক্রবার, ২৭ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা
অন্যরকম

মোচের বাহার

নওগাঁ প্রতিনিধি

মোচের বাহার

একেক ব্যক্তির মোচের ধরন হয় একেক রকমের। আর তা যদি হয় লম্বা। নওগাঁ শহরের লিটন ব্রিজের কাছে এমন একজন মস্ত বড় মোচওয়ালা (গোঁফওয়ালা) ব্যক্তিকে দেখা গেছে বাহারি রকমের ফল বিক্রি করতে। রাস্তায় যখন বের হন তখন তাকে ঘিরে মানুষ নানা কথায় আশপাশ মুখরিত করে তোলে।  তাদের প্রশ্ন, এত বড় মোচ তিনি কেন রাখলেন, এত বড় মোচ রাখার পেছনের রহস্যইবা কী? এই আজব লোকের পরিচয় কী? এই লোকটি শহরবাসীর অনেকের দৃষ্টি কেড়েছেন। মানুষের কৌতূহলী দৃষ্টিতে তিনিও কিছুটা বিব্রত। আবার এত বড় মোচের সঙ্গে রয়েছে চিপ। আজব এই মানুষের মোচ আর চিপ একসঙ্গে আছে প্রায় ২০ বছর ধরে। তাকে শহরেই প্রধান স্পট মসজিদের পাশেই দেখা যায় বিভিন্ন রকমের ফল বিক্রি করতে। নাম তার মোজাহার হোসেন। বয়স ৪৫। বাড়ি বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহারের বোয়ালিয়া গ্রামে। তিনি এই মোচ ১৫ বছর ধরে কাটেন না। বাহারি এই মোচের জন্য প্রতি সপ্তাহে খরচ হয় প্রায় ১৫০ টাকা। প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার নাপিতের  কাছে যেতে হয়।

তার ওপর আবার দিতে হয় দামি হেয়ার জেল, কন্ডিশনার, শ্যাম্পু ও হেয়ার টনিক। ১৫ দিন পরপর তাকে চিরুনি বদলাতে হয়। সঙ্গে রাখতে হয় চিরুনি ও আয়না। কথা বলার এক ফাঁকে তার মোচের মাপজোক করা হলো। দৈর্ঘ্য ১২ ইঞ্চি, প্রস্থ আড়াই ইঞ্চি। ইয়া বড় মোচের মালিক মোজাহার হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, দীর্ঘ ১০ বছর ধরে তিনি নাইট গার্ডের পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। দিন-রাত মানুষকে সেবা দেওয়ার পর একটি ইচ্ছাই তিনি পূরণ করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এরই ফাঁকে ফাঁকে চিরুনি দিয়ে মোচগুলো আঁচরাচ্ছিলেন। তিনি বেশ গর্বের সঙ্গেই বলেন, ‘যেখানে যাই সেখানেই আমাকে সবাই বড় গোঁফ বা মোচ দেখে মোচুয়া বলে ডাকে। এই মোচ দেখে কেউ হাসে, কেউ ফিসফিস করে গালি দেয়। তবে দমার পাত্র নই আমি। এটা আমার শখ। প্রথম দিকে স্ত্রী-সন্তান বিরক্ত হতো। তারা এখন বলে, মোচেই নাকি বেশ মানায়।’ তিনি বলেন, তার পরিচিতি যেন আজব মানুষ হিসেবে থাকে এটাই তার কামনা। এ জন্য  মোচ রাখার প্রথম দিকে চিপ আর মোচ আলাদা ছিল। ৫ বছর আগে মোচ আর চিপ একসঙ্গে করে নিয়েছেন। তিনি এই মোচ আর কোনো দিন কাটবেন না বলেও জানান।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর