আগামী অর্থবছরের (২০১৬-১৭) প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যয়ের যে পরিকল্পনা করা হয়েছে, তার বিপরীতে সরকারের রাজস্ব আদায় বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিতে পারে বলে মনে করেন বিশ্ব ব্যাংকের ঢাকা অফিসের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন। তার মতে, বাজেট বড় আকারের হলেও আরও ভালো হতে পারত। নতুন অর্থবছরের বাজেটে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও শিক্ষাখাতকে গুরুত্ব দেওয়া হলেও সুনির্দিষ্ট কোনো কৌশলের কথা উল্লেখ নেই। গতকাল বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসে প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই বক্তব্য তুলে ধরেন ড. জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, সে হিসেবে মূল্যস্ফীতি কমানো এবারের বাজেটে কঠিন হবে। একই সঙ্গে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতি কমাতে হলে চাহিদা বাড়ানোর চেয়ে জোগান বাড়াতে হবে। আর এ জন্য জ্বালানি ও অবকাঠামো উন্নয়ন, অর্থনৈতিক অঞ্চলের দ্রুত অগ্রগতির মাধ্যমে সঞ্চয়কে বিনিয়োগে রূপান্তরিত করা জরুরি।
ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘বাজেট বাস্তবায়নের জন্য তো কাঁটছাট করতেই হয়। কিন্তু সেই প্রক্রিয়া কীভাবে হবে সেটা একটি বড় বিষয়। এটা যদি ব্যক্তি খাতের কিছু সরাসরি বিনিয়োগকে প্রাধান্য না দিয়ে হয়, সেখানে প্রভাব না পড়ে, তাহলে প্রবৃদ্ধিতে প্রভাব পড়বে না। তবে যদি ভালো ভালো প্রকল্প যেমন বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প, গ্যাস প্রকল্প, স্বাস্থ্য খাত, শিক্ষা ও সামাজিক নিরাপত্তা প্রকল্প থেকে বরাদ্দ কাঁটছাট করা হয় তাহলে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
