রবিবার, ২৬ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

রংপুরের নারীদের নজর তাঁতের শাড়িতে

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

রংপুরের নারীদের নজর তাঁতের শাড়িতে

রংপুরে ঈদের বাজার জমে উঠেছে। এবার তরুণীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে বুটিকের থ্রি পিস। আর নারীদের পছন্দ তাঁতের শাড়ি। কদর নেই গত বছরের কিরণমালা, পাখি ও মাসাককালি নামের জামা-কাপড়ের। তরুণ ও পুরুষের আগ্রহ বাহারি দেশি পাঞ্জাবিতে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সবচেয়ে বেশি জমেছে কাপড়ের দোকানগুলো। দম ফেলার সময় পাচ্ছেন না দোকানিরা। সকাল ১০টা থেকে ইফতারের আগ পর্যন্ত ক্রেতার উপচে পড়া ভিড় সামলাতে হচ্ছে। তারাবি নামাজের পর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ক্রেতার পদচারণে মুখরিত থাকছে বিপণিবিতানগুলো। নগরীর অভিজাত বিপণিবিতানগুলো ঘুরে এবং ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে কথা জানা গেছে, এবার সবচেয়ে বেশি কেনাবেচা হচ্ছে বুটিকের থ্রি পিস। নগরীর জাহাজ কোম্পানি শপিং কমপ্লেক্সের অভিজাত কাপড়ের দোকান ‘রঙ্গন’-এর বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম জানান, একেকটি বুটিকের থ্রি পিস দেড় হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভারতীয় বুটিকের সঙ্গে সমানতালে বিক্রি হচ্ছে বাহারি দেশি বুটিকের থ্রি পিস। তবে ভারতীয় মডেল তারকার নামে থ্রি পিস এসেছে এবার। প্রতিটির দাম ১ লাখ ১০ হাজার টাকা। তবে ক্রেতারা শুধু নেড়েচেড়ে দেখছেন। এখন পর্যন্ত একটিও বিক্রি হয়নি। গত শুক্রবার রাতে রঙ্গনে থ্রি পিস কিনতে আসেন রংপুর মেডিকেল কলেজের তিন ছাত্রী। তিনজনই ১৫ হাজার টাকা দামের বুটিকের থ্রি পিস কেনেন। তাদেরই একজন নাজনিন সুলতানা প্রিয়া জানান, গত ঈদে ‘কিরণমালা’ থ্রি পিস কিনেছিলাম। এবার কিনলাম বুটিকের থ্রি পিস। একই দোকানের শাড়ি বিক্রেতা মানিক মিয়া বলেন, এবার তাতের শাড়ির প্রতি নারীদের ঝোঁক বেশি। ওই দোকানে সাড়ে ৩ হাজার টাকায় একটি শাড়ি কেনেন চিকিৎসক নিলুফার ইয়াসমিন। তিনি বলেন, এবারের তাঁতের শাড়িগুলো খুবই চমৎকার। লোভ সামলাতে না পেরে একটি কিনে ফেললাম। রঙ্গনের ব্যবস্থাপক রাশেদ আহমেদ বলেন, এবার ঈদে তরুণীরা সবচেয়ে বেশি কিনছে বুটিকের থ্রি পিস। প্রতিদিন ৫০-৬০ পিস বুটিক থ্রি পিস বিক্রি হচ্ছে। জেলা পরিষদ সুপার মার্কেটের ‘মনে রেখো’র স্বত্বাধিকারী জয়নাল আবেদীন বলেন, এবার কিরণমালা, পাখি ও মাসাককালির অস্তিত্ব নেই। বুটিক থ্রি পিস ছাড়া মেয়েরা কিছুই বুঝছেন না। প্রতিদিন ৩০-৪০ পিস বুটিক থ্রি পিস বিক্রি করছি। বেতপট্টির শাড়িঘরের বিক্রেতা আইয়ুব আলী বলেন, এবার তাঁতের শাড়িতে মজেছেন নারীরা। অন্য শাড়ি খুব কম বিক্রি হচ্ছে। এদিকে বাহারি দেশি পাঞ্জাবিতে আগ্রহ বেশি ক্রেতাদের। বাহারি রং আর নিত্যনতুন নকশার কারণে পাঞ্জাবির দোকানেও বেশ ভিড় পড়েছে। দেশীয় পাঞ্জাবির পাশাপাশি বিপণিবিতানগুলোয় রয়েছে ভারতীয়সহ অন্য দেশের পাঞ্জাবির সমারোহ। ৪৫০ থেকে শুরু করে ৪ হাজার ৮৫০ টাকা মূল্যের পাঞ্জাবি রয়েছে।

সর্বশেষ খবর