শুক্রবার, ১ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

যে কোনো জায়গায় আলোচনায় বসতে রাজি : খালেদা

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সুশীল সমাজকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, দেশের প্রয়োজনে আমি যে কোনো সময় যে কোনো স্থানে আলোচনায় বসতে রাজি আছি। তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আর গুম-খুনের ভয় না করে ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে মাঠে নামুন। কারণ, চুপ করে বসে থেকে এদের হাত থেকে কেউ পার পাবেন না। রাস্তায় নামার সাহস এবং ক্ষমতা দুটোই আমার আছে। গতকাল রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। ৭ জুন প্রথম রমজানে রাজধানীর ইস্কাটন লেডিস ক্লাবে এতিম ও ওলামা মাশায়েখদের সঙ্গে ইফতার মাহফিল শুরু করার পর গতকাল মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে ইফতারের মাধ্যমে তার এবারের রমজানের ইফতার মাহফিল শেষ করেন। মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজীজ ওলফাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এলডিপি চেয়ারম্যান ড. অলি আহমদ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, মেজর অব. হাফিজউদ্দিন আহমেদ, কল্যাণ পার্টির মেজর জেনারেল অব. সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, গণস্বাস্থ্য হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

খালেদা জিয়া উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশে বলেন, গণতন্ত্র, সুশাসন, ন্যায়বিচারসহ সবার জন্য সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য একদিন আপনারা যুদ্ধ করে এই দেশ স্বাধীন করেছিলেন। কিন্তু আজ কারও কোনো স্বাধীনতা নেই। মানুষের ভোটাধিকার থেকে শুরু করে বাকস্বাধীনতা পর্যন্ত সবকিছুই হরণ করে নিয়েছে এ সরকার। আমাদের বিডিআরকে বাঘ থেকে বিড়াল বানিয়ে ফেলা হয়েছে। তিনি বলেন, বিডিআরকে দুর্বল করে ফেল?া হয়েছে বলেই মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষীরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশের সুযোগ পায়। সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বাড়ছে। ভারতকে ট্রানজিট প্রদান সম্পর্কে তিনি বলেন, যমুনা সেতু, দাউদকান্দি মেঘনা সেতুতে একটা গাড়ি নিয়ে গেলেও সাত থেকে আটশ টাকা করে টোল দিতে হয়। আর ভারত থেকে ট্রানজিটের ক্ষেত্রে একেকটি গাড়ির পেছনে ধরা হয়েছে মাত্র ১৯২ টাকা। ছিঃ ছিঃ লজ্জার কথা। বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, দেশের আজ এমন অবস্থা হয়েছে যে, মানসম্মান নিয়ে বসবাস করাই কঠিন হয়ে পড়েছে। কোনো ধর্মের মানুষেরই আজ নিরাপত্তা নেই। সবাই আজ নির্যাতিত। পুলিশ-র‌্যাব মানুষকে ধরে ধরে ক্রসফায়ারে দিচ্ছে। এদের বিচার একদিন হবেই হবে।

সর্বশেষ খবর