বুধবার, ১৩ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

সাতক্ষীরা লক্ষ্মীপুরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিনজন গুলিবিদ্ধ

প্রতিদিন ডেস্ক

সাতক্ষীরা সদর ও দেবহাটায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুই যুবক আহত হয়েছেন। সোমবার রাতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাদের আটক করা হয়। এদিকে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ওয়ারেন্টভুক্ত দুই মামলার পলাতক আসামি মো. হারুন নামের এক ডাকাত গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। সোমবার রাতে উপজেলার কাশীনগর গ্রামের খোয়াদ মাস্টার ব্রিজ এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।  আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর—

সাতক্ষীরা : সদর ও দেবহাটায় পুলিশের গুলিতে দুই যুবক আহত হয়েছেন। তাদেরকে পুলিশ পাহারায় সাতক্ষীরা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ দুই যুবক হলেন সাতক্ষীরা পৌর এলাকার মধুমোল্লারডাঙ্গির বিশ্বজিত সরকার (২০) ও দেবহাটার বালিয়াডাঙ্গার মো. নুরুজ্জামান (২৪)। পুলিশ জানিয়েছে, তারা দুজনেই মাদক চোরাকারবারি। সোমবার মধ্যরাতে পুলিশের সঙ্গে পৃথক বন্দুকযুদ্ধে তারা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক হন। জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার উপপরিদর্শক (এসআই) কামাল হোসেন জানান, ইটাগাছা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই এমদাদ মাদক বেচাকেনার খবর পেয়ে টহল পুলিশ নিয়ে সোমবার গভীর রাতে সদর উপজেলার ইসলামপুরের বেজেরডাঙ্গায় গেলে সন্ত্রাসীরা তাদের লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে। পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে বিশ্বজিত সরকার আহত হন। আহত বিশ্বজিত একজন মাদক চোরাকারবারি। তার কাছ থেকে ১০০ পিস ইয়াবা ও ৪ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে। বিশ্বজিত সরকার মধুমোল্লারডাঙ্গির নারায়ণ সরকারের ছেলে। এসআই কামাল হোসেন জানান, একই রাতে দেবহাটা থানার এসআই নাজমুল আলম ও এসআই মাসুদুজ্জামান মাদক বেচাকেনার সংবাদ পেয়ে পুষ্পকাটি গ্রামের বিছমিল্লাহ ব্রিক ফিল্ডের কাছে গেলে তাদের ওপর বোমা নিক্ষেপ করা হয়। পুলিশ পাল্টা গুলি ছুড়লে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ নুরুজ্জামানও একজন মাদক চোরাকারবারি। তার কাছ থেকে দুই বোতল ফেনসিডিল ও দুই বোতল মদ উদ্ধার করা হয়। নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে দেবহাটা থানায় দুটি চোরাচালান মামলা রয়েছে। সে দেবহাটা বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের আমিনুল মোল্লার ছেলে। তাদের দুজনই সদর হাসপাতালে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসাধীন। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলা ও মাদক চোরাচালানের পৃথক মামলা হয়েছে। লক্ষ্মীপুর : রামগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ওয়ারেন্টভুক্ত দুই মামলার পলাতক আসামি মো. হারুন নামের এক ডাকাত গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ সময় উষাতন চাকমা ও নেছার আহম্মদ নামে আরও দুই পুলিশ সদস্য আহত হন বলে দাবি করে পুলিশ। সোমবার রাতে উপজেলার কাশীনগর গ্রামের খোয়াদ মাস্টার ব্রিজ এলাকায় বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে দুটি এলজি, ছয় রাউন্ড গুলি, দুটি রামদা ও একটি কিরিচ উদ্ধার করা হয়। গুলিবিদ্ধ হারুনকে পুলিশ পাহারায় সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সে রামগঞ্জের কাশিনগর গ্রামের শরবত আলীর ছেলে। রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোতা মিয়া বলেন, কাশীনগরে ডাকাত দলের অবস্থান জানতে পেরে পুলিশ অভিযান চালায়, এ সময় পুলিশ ও ডাকাতদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এতে ওয়ারেন্টভুক্ত দুই মামলার পলাতক আসামি ডাকাত সদস্য হারুন গুলিবিদ্ধ ও দুই পুলিশ সদস্য আহত হন।

সর্বশেষ খবর