সোমবার, ১৮ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা
আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা

আপিলে ১১ আসামির খালাস বহাল

নিজস্ব প্রতিবেদক

আপিলে ১১ আসামির খালাস বহাল

গাজীপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলায় ১১ আসামিকে খালাস দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেনি আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনে গতকাল প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ ‘নো অর্ডার’ দেন। এর ফলে এই ১১ আসামিকে খালাস দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রয়েছে বলে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জানিয়েছেন। এখন আসামিদের মুক্তিতে কোনো বাধা নেই বলে আইনজীবীরা জানান। আসামিপক্ষে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, খন্দকার মাহবুব হোসেন, মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং এস এম শাহজাহান শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। হাইকোর্টে খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন— আমির হোসেন, জাহাঙ্গীর ওরফে বড় জাহাঙ্গীর, ফয়সাল (পলাতক),  লোকমান হোসেন ওরফে বুলু, রনি মিয়া ওরফে রনি ফকির (পলাতক), খোকন (পলাতক), দুলাল মিয়া, রাকিব উদ্দিন সরকার পাপ্পু, আইয়ুব আলী, জাহাঙ্গীর ও মনির। এদের মধ্যে আমির হোসেন, বড় জাহাঙ্গীর, ফয়সাল, লোকমান, রনি, খোকন ও দুলাল নিম্ন আদালতে মৃত্যুদণ্ড পেয়েছিলেন। আর রাকিব,  আইয়ুব, জাহাঙ্গীর ও মনিরকে বিচারিক আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। গত ১৫ জুন হাইকোর্ট এই ১১ জনকে খালাস দেয়। রাষ্ট্রপক্ষ সেই রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে। আবেদনের শুনানি করে ২১ জুলাই চেম্বার আদালত ১১ জনকে খালাস দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করে। একই সঙ্গে বিষয়টি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেয়। ১৪ জুলাই ১১ জনের খালাসের রায়ে দেওয়া স্থগিতাদেশের মেয়াদ ১৭ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এ মামলায় নিম্ন আদালতে ফাঁসির আদেশ পাওয়া ২২ জনের মধ্যে হাইকোর্টে ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল, সাতজনকে সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন ও সাতজনকে খালাস দেওয়া হয়। অন্য দুই আসামির মৃত্যু হওয়ায় তাদের মামলা নিষ্পত্তি হয়ে যায়। বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ছয় আসামির মধ্যে একজনের দণ্ড বহাল, চারজন খালাস পেয়েছেন হাইকোর্টে। অন্য একজন আপিল না করায় তার দণ্ডও হাইকোর্টে বহাল রয়েছে। বিচারিক আদালত থেকেই খালাস পান দুই আসামি কবির হোসেন ও আবু হায়দার ওরফে মিরপুরইয়া বাবু। উল্লেখ্য, বিগত চারদলীয় জোট সরকারের সময় ২০০৪ সালের ৭ মে টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের এক সমাবেশে আহসান উল্লাহ মাস্টারকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। পরদিন ৮ মে নিহতের ভাই মতিউর রহমান টঙ্গী থানায় ১৭ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। বিচার শেষে ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন রায়ে ৩০ আসামির মধ্যে বিএনপি নেতা নূরুল ইসলাম সরকারসহ ২২ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া দুজনকে খালাস দেওয়া হয়।

সর্বশেষ খবর