শনিবার, ২৩ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

গাইবান্ধার চরে দ্বিতীয় দফার অভিযানে মিলল রামদা-চাকু

প্রতিদিন ডেস্ক

গাইবান্ধার চরে দ্বিতীয় দফার অভিযানে মিলল রামদা-চাকু

যমুনা নদীর দুর্গম চর গাইবান্ধার ফুলছড়ি ইউনিয়নের খোলাবাড়ী, খঞ্চাপাড়া, বাগবাড়ী ও গাবগাছি গ্রামে গতকাল দ্বিতীয় দফায় জঙ্গিবিরোধী অভিযান চালিয়েছে যৌথবাহিনী। কিন্তু এ অভিযানেও কোনো জঙ্গিকে পাওয়া যায়নি। পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে মাত্র দুটি সামুরাই, চারটি রাম দা ও একটি চাকু। এ ছাড়া কয়েক স্থানে নিখোঁজদের সন্ধানেও পুলিশ তত্পর হয়েছে।

গাইবান্ধা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক আহম্মেদের নেতৃত্বে বিজিবি, র‌্যাব ও পুলিশের ১২০ জন সদস্য এই অভিযানে অংশ নেন। গতকাল ভোর পাঁচটা থেকে সকাল দশটা পর্যন্ত পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী অভিযান চালানো হয়। অভিযান শেষে পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন ফুলছড়ি থানায় ফিরে সাংবাদিকদের বলেন, দীর্ঘসময় জঙ্গিবিরোধী অভিযানের কারণে এলাকায় জনসচেতনতা তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া অভিযানে এলাকার নিখোঁজ ব্যক্তিদের তথ্য সন্ধান করা হয়। উল্লেখ্য, এর আগে পার্শ্ববর্তী বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি ও গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার দুর্গম চরে যৌথবাহিনী জঙ্গিবিরোধী অভিযান চালায়। কিন্তু তখনো কোনো জঙ্গি পাকড়াও করা সম্ভব হয়নি। দিনাজপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ৪ বছর ধরে নিখোঁজ রয়েছেন এসএসসি পাস আবদুল ওয়াদুদ মানিক (২০) এবং  চিরিরবন্দরে হাফেজ আনারুল। ওয়াদুদ মানিক দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার বেতদিঘী ইউনিয়নের নন্দলালপুর গ্রামের আবদুল জলিলের ছেলে। নিখোঁজ ঘটনায় গত ২০ জুলাই পিতা ফুলবাড়ী থানায় একটি জিডি করেছেন। ২০১১ সালে এসএসসি পাস করার পর পারিবারিক কলহের কারণে ওয়াদুদ বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। এ ছাড়া চিরিরবন্দর উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া শাহপাড়ার চুড়িফিতা ফেরিওয়ালা হবিবরের পুত্র আনারুল (২২) ৩ বছর আগে কাউকে না জানিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। ফুলবাড়ী থানার ওসি মকছেদ আলী বলেন, পরিবার থেকে নিখোঁজ হওয়া যুবকেরা জঙ্গি কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে কিনা খতিয়ে দেখতে পুলিশ এই নিখোঁজদের সন্ধান করছে। ফরিদপুর প্রতিনিধি জানান, নগরকান্দা উপজেলার তালমা ইউনিয়নের ধুতরাহাটি গ্রামের নান্নু শেখের ছেলে সেন্টু শেখ (২২) নিখোঁজ হওয়ার আট মাস পাড় হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত তার সন্ধান পায়নি পরিবারের সদস্যরা। এ ব্যাপারে নগরকান্দা থানায় একটি জিডি করেছেন সেন্টুর পিতা। জিডির বিবরণ থেকে জানা গেছে, হারিয়ে যাওয়ার সময় সেন্টুর পরনে ছিল হাফ হাতা গেঞ্জি ও জিন্সের প্যান্ট। তার গায়ের রং শ্যামলা, উচ্চতা আনুমানিক ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি। নগরকান্দা থানার ওসি আফসার উদ্দিন বলেন, আমরা বিভিন্ন জায়গায় নিখোঁজ সেন্টুর ছবিসহ মেসেজ পৌঁছে দিয়েছি। আমাদের সব রকম অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে।

সর্বশেষ খবর