সোমবার, ১ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা
ডুবছে জনপদ, ভাঙছে বসতি

ঘর নেই খাবার নেই দুর্ভোগ চরমে

প্রতিদিন ডেস্ক

ঘর নেই খাবার নেই দুর্ভোগ চরমে

যমুনার পানি বৃদ্ধি পেয়ে জামালপুরে বকশীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার মানুষজন গত ১৫ দিন ধরে পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। বন্যার্তদের কাছে এখনো পৌঁছায়নি ত্রাণ —বাংলাদেশ প্রতিদিন

বন্যা পরিস্থিতির অবনতি অব্যাহত রয়েছে। বিভিন্ন স্থানে গতকাল আরও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ভাঙনের শিকার হয়েছে রাস্তাঘাট এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। বসতি হারিয়েছে বহু পরিবার। পাশাপাশি পানিবন্দী মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল জানানো হয়েছে, ৪৮ ঘণ্টায় পদ্মার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। ফলে পদ্মা নদী সংলগ্ন রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও শরীয়তপুর জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির সামান্য অবনতি হতে পারে। ঢাকার আশপাশের বুড়িগঙ্গা, বালু ও শীতলক্ষ্যা নদীসমূহের পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৯০টি পানি মনিটরিং স্টেশনের মধ্যে ৪৬টি স্থানে পানি বৃদ্ধি ও ৩৯ স্টেশনে পানি হ্রাস পেয়েছে। ১৮টি স্থানে পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র-যমুনা এবং সুরমা, কুশিয়ারা নদ-নদীর পানি হ্রাস পাচ্ছে। গঙ্গায় স্থিতিশীল রয়েছে। অন্যদিকে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ৭২ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র-যমুনা এবং সুরমা-কুশিয়ারা নদ-নদীসমূহের পানি কমা অব্যাহত থাকতে পারে। আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর— গাইবান্ধা : ফুলছড়ি উপজেলার সিংড়িয়ায় বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে যাওয়ার ফলে গতকাল দুপুরে সদর উপজেলার আলাই নদীর চুনিয়াকান্দি পয়েন্টের সোনাইল বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধও ভেঙে গেছে। ফলে সদর উপজেলার বোয়ালি, বাদিয়াখালি, সাঘাটার পদুমশহর, ফুলছড়ির কঞ্চিপাড়া ও উদাখালীর বিস্তীর্ণ এলাকা তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া ফুলছড়ির কালিরবাজার-গুণভরি সড়কের পূর্ব ছালুয়া এবং কালিরবাজার কাঠুর সড়কের দুটি ব্রিজ ভেঙে গেছে এবং কালিরবাজারের ফুলছড়ি উপজেলা চত্বর নিমজ্জিত হয়েছে। ফুলছড়ি উপজেলা থেকে জেলা শহরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। কাতলামারির উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিও এখন জলমগ্ন।  এদিকে ঘাঘট ও ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি এখনো বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গতকাল ঘাঘটের পানি বিপদসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ৫৮ সেন্টিমিটাির ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। শরীয়তপুর : ২৪ ঘণ্টায় শরীয়তপুরের সুরেশ্বর পয়েন্টে পদ্মার পানি ১০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে ভেদরগঞ্জ, জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলার ৫৬টি গ্রামে। পানিবন্দী রয়েছেন ৫২টি গ্রামের ৫০ হাজারেরও অধিক মানুষ। জাজিরা উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের ১৮টি গ্রামে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। গত দুই দিনের ভাঙনে চার শতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়েছে। পরিবারগুলো আশ্রয়ের জায়গা না পেয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে। কুণ্ডেরচর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মোতালেব মাদবর বলেন, দুই দিন ধরে পদ্মার ভাঙনের তীব্রতা বেশি। খাজুরতলা বাজারটি যে কোনো সময় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। শরীয়তপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে এম এনামুল হক বলেন, এ অবস্থায় জাজিরা, নড়িয়া ও শরীয়তপুর সদরের কয়েকটি এলাকায় বাঁধ নির্মাণের জন্য প্রকল্প প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্প অনুমোদন হলে কাজ শুরু হবে। এই মুহূর্তে শরীয়তপুর কার্যালয়ে ভাঙন রোধ করার জন্য কোনো বরাদ্দ নেই। সুনামগঞ্জ : পানির তোড়ে জনগুরুত্বপূর্ণ অনেক সড়ক ভেঙে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে জেলার বিপুলসংখ্যক মানুষ। স্থানীয় সরকার বিভাগ জানায়, তাদের ১২০ কিলোমিটার পাকা সড়কের ওপর দিয়ে বন্যার পানি বইছে।  সদর উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর গ্রামের কৃষক আবদুল খালেক বলেন, ভেঙে যাওয়া সড়কগুলো দ্রুত সংস্কার করা জরুরি। স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন জানান, ভেঙে যাওয়া সড়কগুলো সংস্কারের জন্য ২০ কোটি টাকা প্রয়োজন। অর্থ বরাদ্দ চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে রাস্তাগুলো সংস্কারের কাজ শুরু করা যাবে। মাদারীপুর : শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুটের পদ্মা নদীতে অব্যাহত পানি বেড়ে বিপদসীমার ৪৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কাওড়াকান্দি ঘাটের ২ নম্বর ঘাটটি এক সপ্তাহ ধরে পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। তীব্র সে াত অব্যাহত থাকায় ফেরিসহ নৌযানগুলোকে দুই থেকে আড়াই কিলোমিটার উজান বেয়ে পদ্মা নদী পাড়ি দিতে হচ্ছে। এতে দ্বিগুণ থেকে আড়াইগুণ সময় বেশি লাগছে। ফেরিগুলো পারাপারে হিমশিম খাচ্ছে। ৩টি ডাম্ব ফেরিসহ ৪টি ফেরি বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এখন ১৪টি ফেরি চলছে। জানা গেছে, পদ্মা নদীর ভাঙনে সন্ন্যাসীরচর, চরজানাজাত, কাঁঠালবাড়ির ৩ শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে শত শত পরিবার গৃহহীন অবস্থায় রয়েছে। জামালপুর : যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপদসীমার ১০৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি কিছুটা কমলেও বাড়ছে ব্রহ্মপুত্র, ঝিনাইসহ শাখা নদীগুলোর পানি।  জানা গেছে, জেলার ৭ উপজেলার সবগুলোই এখন মারাত্মকভাবে বন্যা কবলিত। বন্যায় জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা একেবারে ভেঙে পড়েছে। পানির প্রবল তোড়ে ফুলবাড়ি এলাকায় রাস্তা ভেঙে জামালপুর-সরিষাবাড়ী সড়ক এবং দাঁতভাঙা ব্রিজের অ্যাপ্রোচ সড়ক ভেঙে জামালপুর-মাদারগঞ্জ সড়কের এবং বিভিন্ন স্থানে সড়ক ও ডাইভারশন ডুবে যাওয়ায় জেলার ৬ উপজেলার সঙ্গে সদরের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ৭টি উপজেলার ৫০টি ইউনিয়নের ৪ লক্ষাধিক মানুষ এখনো পানিবন্দী রয়েছে। এসব মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। এদিকে গতকাল দুপুরে বন্যার পানিতে ডুবে ইসলামপুর উপজেলার চরপুঁটিমারী ইউনিয়নের বেনুয়ারচর এলাকায় মারা গেছেন দুই নারী। বন্যায় নিমজ্জিত রাস্তা পার হওয়ার সময় প্রবল সে াতে তারা ছিটকে নদীতে ডুবে যান। পরে এলাকাবাসী তাদের লাশ উদ্ধার করে। ফরিদপুর : ফরিদপুর জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। প্রতিদিনই প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা নদীর পানি ৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে এখন তা বিপদসীমার ১০১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার পানির তীব্র সে াতে সদর উপজেলার আলিয়াবাদ ইউনিয়নের সাদিপুরের একটি রাস্তার ১০০ মিটার ধসে গেছে। ফলে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে বেশ কয়েকটি গ্রাম। তলিয়ে গেছে কয়েকশ হেক্টর জমির নানা প্রজাতির ধানসহ সবজির খেত।

এ ছাড়া বন্যার পানি বৃদ্ধির কারণে ভাঙ্গায় ‘আড়িয়াল খাঁ’ নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। গত ১৫ দিনে উপজেলার নাসিরাবাদ ইউনিয়নের গজারিয়া, নাসিরাবাদ, কোষাভাঙ্গা, দুয়াইর, চরদুয়াইর গ্রামের ২০০ বিঘা জমি ও ৫১টি বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে পড়েছে ভাঙ্গার তারাইল-সদরপুর-টেপাখোলা-গোয়ালন্দ সড়কের নাসিরাবাদ ইউনিয়নের দরগাবাজার এলাকার অর্ধকিলোমিটার সড়ক। রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) : রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী ও দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের চর কাছিয়া, চর ঘাষিয়া ও চরলক্ষ্মী গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মেঘনা নদীর ভাঙনে এক সপ্তাহে মোল্লাকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ প্রায় ৩০০ বসতঘর ও দুটি মাছের আড়ত নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনে চরাঞ্চলের লোকজন প্রতিনিয়ত ভিটেমাটি হারানোর ভয়ে আতঙ্কের মাঝে বসবাস করছে। গৃহহারা মানুষগুলো এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের লক্ষ্মীপুর কার্যালয়ের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান মৃধা বলেন, ‘ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। ভাঙন রোধে প্রধান কার্যালয়ে বরাদ্দ চেয়েছি। বরাদ্দ পেলে ভাঙন রোধে কাজ শুরু করব’। দিনাজপুর : ভূমি অবনমন হয়ে তলিয়ে গেছে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী-বড়পুকুরিয়া সড়ক। ফলে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন বড়পুকুরিয়া এলাকাসহ ১০ গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ। গতকাল বড়পুকুরিয়া বাজার এলাকায় দেখা যায়, বড়পুকুরিয়া বাজার থেকে দক্ষিণ দিকে প্রায় অর্ধকিলোমিটার রাস্তা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। চলাচলকারীরা জানান, ভারি বর্ষণ ও কয়লাখনির কারণে ভূমি অবনমন হওয়ায় রাস্তাটি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। অনেক জায়গায় নালাখন্দে পরিণত হয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে বড়পুকুরিয়ার পাতিগ্রাম, জিয়াগাড়ী, পাথরাপাড়া, বাঁশপুকুর, শিবকৃষ্ণপুর, হামিদপুর, ধুলাউদাল, পলাশবাড়ীসহ ১০ গ্রামের মানুষকে।  সিরাজগঞ্জ : বন্যায় ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় সিরাজগঞ্জে পানিবন্দী মানুষগুলো মানবেতর জীবনযাপন করছেন। সরেজমিন বেলকুচি উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়ন ঘুরে গতকাল দেখা যায়, এক মুঠো ত্রাণের জন্য প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষ অপেক্ষা করছেন। এজন্য অনেক নারী-পুরুষ গলাপানি পর্যন্ত নেমে দাঁড়িয়েছিলেন। এদের একজন শিউলী বেগম বলেন, দশ দিন ধরে পানিবন্দী আছি। ঘর ছেড়ে স্কুলে আশ্রয় নিয়েছি। আয় রোজগার নেই। অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটছে। চাল দেওয়ার কথা শুনে ছুটে এসেছি। কিন্তু আমার ভাগ্যে এক মুঠো চালও জোটেনি। এক মুঠো চালের জন্য গলাপানি পর্যন্ত নেমেছি।

একই অবস্থা ঠাকুরপাড়া, আজুগড়ার আরও কয়েকটি পয়েন্টে। অনেককে বাঁশের ভেলা ও নদী সাঁতরিয়ে ত্রাণ নিতে আসতে দেখা যায়। কিন্তু কারও ভাগ্যে জুটেছে আবার কারও ভাগ্যে জোটেনি। একই অবস্থা সিরাজগঞ্জ সদরের কাওয়াকোলা, মেছড়া, কাজিপুরের মাইজবাড়ী ও খাসরাজবাড়ী ইউনিয়নের। ইউপি চেয়ারম্যান সোনিয়া সবুর আকন্দ জানান, রাজাপুর ইউনিয়নের ৩২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আমরা যে ত্রাণ পেয়েছি তা অতি নগণ্য। ত্রাণ না পেয়ে অনেকে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী জানান, বেলকুচি উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ পানিবন্দী রয়েছেন। যে পরিমাণ ত্রাণ দেওয়া হয়েছে তা অপ্রতুল। শেরপুর : শেরপুরে বন্যার পানিতে ডুবে আবদুল মমিন (৪) নামে এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল দুপুরে সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের  বেপারীপাড়া গ্রামে। শিশু মমিন ওই গ্রামের মো. হাতেম আলীর ছেলে। ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রউফ জানান, বেশকিছুদিন যাবৎ বেপারীপাড়া এলাকায় নদীভাঙন শুরু হলে দুপুরে হাতিম আলীর বসতঘরটিও ভাঙনের কবলে পড়ে। এ সময় ঘরে থাকা ছোট শিশু মমিন বন্যার পানিতে ডুবে মারা যায়। এদিকে বেলকুচি থেকে পাওয়া খবরে জানা গেছে, বন্যার পানিতে কলার গাছের ভেলায় করে বাড়ি ফেরার পথে বিদ্যুতের তাড়ে জড়িয়ে আবদুল কুদ্দুস (৫০) নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। গতকাল সকাল নয়টার দিকে উপজেলার দেলুয়া পুর্বপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। কুদ্দুস দেলুপুর্বপাড়ার বাসিন্দা। স্থানীয় কমিশনার শহিদুল ইসলাম জানান, দোকান থেকে বাজার নিয়ে কুদ্দুস বাড়ি ফিরছিল। পথিমধ্যে ভেলার লগির সঙ্গে বিদ্যুতের তারের স্পর্শ লাগলে সে বিদ্যুতায়িত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর