বুধবার, ১০ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

ভাঙনে বন্ধ পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরিঘাট, দুই পাড়ে যানজট

শিমুলিয়ায়ও অচলাবস্থা

মানিকগঞ্জ ও মাদারীপুর প্রতিনিধি

ভাঙনে বন্ধ পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরিঘাট, দুই পাড়ে যানজট

পটুয়াখালীর আন্ধারমানিক নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানিতে ডুবে যায় মহিপুর ইউনিয়ন। এ সময় রাস্তায় বস্তা ফেলে পানি আটকানোর চেষ্টা করে এলাকাবাসী —বাংলাদেশ প্রতিদিন

টানা চার দিন ধরে বন্ধ পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল। দৌলতদিয়ার চারটি ঘাট নদীগর্ভে বিলীন হওয়ায় বন্ধ রয়েছে এ রুটের ফেরি সার্ভিস। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বিকল্প পথে যাত্রীবাহী যান চলাচল করলেও দুই পাড়ে আটকে আছে শত শত পণ্যবাহী ট্রাক।

এদিকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাট বন্ধ থাকায় শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুটে যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে পদ্মায় তীব্র স্রোত অব্যাহত থাকায় ও দ্রুত পানি কমে নাব্য সংকট দেখা দেওয়ায় যানবাহনের বাড়তি চাপ নিতে পারছে না এ নৌরুটটি। এখানেও উভয় ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে আড়াই শতাধিক যানবাহন।

জানা যায়, পদ্মার প্রবল স্রোতে দৌলতদিয়া প্রান্ত ব্যাপক ভাঙনের শিকার হয়। এতে ওই পাড়ের চারটি ঘাটই হয়ে পড়ে ব্যবহারের অনুপযোগী। এ অবস্থায় চতুর্থ ঘাটের একটি চ্যানেল দিয়ে মাঝেমধ্যে জরুরিভাবে দু-একটি ট্রিপ দেওয়া হচ্ছে। বিআইডব্লিউটিসি আরিচা অঞ্চলের ডিজিএম শেখ মুহাম্মদ নাসির জানান, ‘জাতীয় শোক দিবস ও ঈদুল আজহায় যানবাহনের চাপ বেশি পড়ার কথা ভেবে ঘাট জরুরি ভিত্তিতে মেরামতের কাজ চলছে। তবে ঘাটের যে অবস্থা মেরামত করে স্থায়ী করা যাবে না। স্থায়ী সমাধানের জন্য নতুন ঘাটের পরিকল্পনা করছি।’

বিআইডব্লিউটিএর কাওড়াকান্দি ঘাট সূত্র জানায়, বন্যার পানি কমে যাওয়ায় পদ্মার হাজরা টার্নিং পয়েন্টে নাব্য সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে এ রুটের ফেরিগুলো ধারণক্ষমতার চেয়ে কম যানবাহন নিয়ে পারাপার হচ্ছে। আগে যেখানে এক ঘণ্টা লাগত সেখানে গতকাল লেগেছে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা। কাওড়াকান্দির ২ নম্বর ফেরিঘাটটি ১৫ দিন ধরে বিকল। আবার তীব্র স্রোতের কারণে শিমুলিয়ার রো-রো ঘাটটি মাঝেমধ্যে ভেঙে যাচ্ছে। মেরামত করে আবার চালু হয়। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ার বিকল্প হিসেবে এ রুটে এসে যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দুর্ভোগ। এদিকে পদ্মার পানি ১৪ সেমি কমে বিপদসীমার ১০ সেমি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্রায় দুই সপ্তাহ পর পদ্মার পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলো। নদীর পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙন রাক্ষুসে রূপ নিয়েছে। এরই মধ্যে পদ্মার চরাঞ্চল চরজানাজাত ইউনিয়নের পূর্ব খাসচর বন্দরখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবনটির অর্ধেক নদীতে চলে গেছে। কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের কাউলিবেড়া মাদ্রাসাও রয়েছে ভাঙনের মুখে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের চার শতাধিক ঘরবাড়ি ও ৩০০ হেক্টর ফসলি জমি।

সর্বশেষ খবর