শনিবার, ২০ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা
আফসানা হত্যা

ছাত্রলীগ নেতা রবিনকে খুঁজেই পাচ্ছে না পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছাত্র ইউনিয়ন কর্মী ফেরদৌস আফসানা হত্যার ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা হাবিবুর রহমান রবিনকে অভিযুক্ত করছে তার পরিবার। কিন্তু ঘটনার সাত দিন পরও রবিনকে খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ। পুলিশ বলছে, রবিনকে খোঁজা হচ্ছে। এদিকে, রবিনকে গ্রেফতার করতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আফসানার পরিবার ও সহপাঠীরা।

পুলিশের মিরপুর বিভাগের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, ঘটনাটি আত্মহত্যা না হত্যা— সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অবশ্য এরই মধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। এক-দুই দিনের মধ্যে সফলতা আসতে পারে। সন্দেহভাজন হিসেবে রবিনকে খোঁজা হচ্ছে। তবে আল-হেলাল হাসপাতালের সিসিটিভির ফুটেজ জব্দ করা হলেও সে বিষয়ে কিছু বলছে না পুলিশ। আফসানার ভাই ফজলে রাব্বি জানান, তেজগাঁওয়ে থাকাকালে তেজগাঁও কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রবিনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন আফসানা। এক পর্যায়ে তাদের সম্পর্কে টানাপড়েন সৃষ্টি হয়। পরে এলাকা ছেড়ে চলে যান আফসানা। ঘটনার ১০ দিন আগে আফসানা ও রবিনের পরিচিত বন্ধুরা আবার তাদের এক করে দেন। কিন্তু ঘটনার দুই দিন আগে ফের সম্পর্কে ছেদ পড়ে। এ নিয়ে আফসানাকে দেখে নেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়। এরপরই লাশ পাওয়া গেল আফসানার। এখন প্রতিনিয়ত হুমকি আসছে। মিরপুরের সাইক ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজির স্থাপত্যবিদ্যার শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ফেরদৌস আফসানাকে ১৩ আগস্ট রাতে অচেতন অবস্থায় আল-হেলাল হাসপাতালে ফেলে যায় দুই তরুণ। তার আগেই আফসানার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। আফসানাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে তার পরিবার বলছে, এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে রবিন, সৌরভ, বাবু ছাড়া আরও কয়েকজন জড়িত।

জানা গেছে, অন্য ছাত্রীদের সঙ্গে আফসানা তেজগাঁও এলাকায় থাকতেন। মাসখানেক আগে দুই রুমমেটের সঙ্গে মানিকদি এলাকার একটি বাসায় উঠেছিলেন। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, রবিন তেজগাঁও কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে।

সর্বশেষ খবর