বরগুনার বামনা উপজেলায় হাসি আক্তার (ছদ্মনাম) নামে ১২ বছরের পিতৃহারা এক বালিকা ধর্ষণের শিকার হয়েছে। গত বছরের জুলাইয়ে ধর্ষিত হয় সে। এরপর অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। চলতি বছরের এপ্রিলে এক পুত্রসন্তানের জন্ম দেয়। হাসিকে স্থানীয় জাফ্রাখালী গ্রামের প্রভাবশালী আবদুল মান্নান ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় হাসি নিজেই বাদী হয়ে ঢাকার আদালতে মামলা করে। ওই মামলায় মান্নানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে গতকাল পর্যন্ত সে অধরা।

ধর্ষণের শিকার বালিকা এখন সন্তানের মা হওয়ায় বিপাকে পড়েছে তার দরিদ্র পরিবার। হাসির মা ও ভাই অভিযুক্ত মান্নানের বিচার দাবিতে এখন দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। আদালতে মামলার পর থেকে হাসি, তার মা ও ভাইকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে মান্নান। জানা গেছে, এর আগে মান্নান নিজ গ্রামে দুটি ধর্ষণের ঘটনায় ধরা পড়ে ও জরিমানা দেয়। স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পায় না। হাসির ভাই জানান, ‘হাসি যখন পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ত তখন মান্নান তাকে রাস্তায় বিরক্ত করত এবং অশ্লীল কথাবার্তা বলত। ব্যাপারটি স্থানীয়দের কয়েকবার জানানো হলেও কোনো সুরাহা হয়নি। হাসি ষষ্ঠ শ্রেণিতে ওঠার পরও মান্নান তার পিছু ছাড়েনি। অনেকটা নিরুপায় হয়ে গত বছরের জুনে হাসিকে মেরুল বাড্ডায় ফুফুর বাসায় নিয়ে আসি।’

এ ঘটনায় ২৩ মার্চ ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪-এ মান্নানকে আসামি করে মামলা করে হাসি। এ বিষয়ে বামনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুস সাত্তার তালুকদার বলেন, মান্নান নামে তার থানায় কোনো গ্রেফতারি পরোয়ানা পৌঁছেনি।