মঙ্গলবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

সবাইকে রাজনীতি করার সুযোগ দিলেই মুক্তি

—রাজিব আহসান

সবাইকে রাজনীতি করার সুযোগ দিলেই মুক্তি

শিক্ষাঙ্গনে ক্রিয়াশীল ছাত্ররাজনীতির সুযোগ না থাকায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা জঙ্গিবাদের দিকে ঝুঁকছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহসান। তিনি বলেন, ‘শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রলীগ ছাড়া কেউই রাজনীতি করার সুযোগ পাচ্ছে না। তারা ক্যাম্পাসে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেই বিভ্রান্ত হচ্ছে। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলসহ অন্যান্য ক্রিয়াশীল সংগঠনকে ক্যাম্পাসে সহ্যই করতে পারছে না ছাত্রলীগ। এ সুযোগ নিচ্ছে মৌলবাদী জঙ্গিবাদী গোষ্ঠী। সাধারণ ছাত্রদের তারা ব্রেইন ওয়াশ করে বিপথগামী করছে। এ জন্য এখন প্রয়োজন প্রতিটি শিক্ষাঙ্গনে দ্রুত ছাত্রসংসদ নির্বাচন আর সব ছাত্র সংগঠনের সহাবস্থান। কারণ ক্যাম্পাসে সুস্থ রাজনৈতিক চর্চা থাকলে কাউকে বিপথগামী করার সুযোগ নেই।’ গতকাল সন্ধ্যায় বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় রাজিব আহসান আরও বলেন, ‘আজকে জঙ্গিবাদের উত্থানের কারণ ভিন্নমতের কাউকে ক্যাম্পাসে না থাকতে দেওয়া। ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে বিকল্প কোনো সুযোগ না থাকা। তাই একাংশ চলে যাচ্ছে আন্ডারগ্রাউন্ডে। ঝুঁকে পড়ছে জঙ্গিবাদে। ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা এর বিরুদ্ধে সোচ্চার। কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের প্রতিটি সাংগঠনিক ইউনিটে এ বিষয়ে অফিশিয়ালি চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ছাত্রদলের কোনো নেতা-কর্মী বা সমর্থক যেন বিপথগামী না হয়, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে। একইভাবে ক্যাম্পাসে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সচেতন করতে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি।’ ছাত্রদল সভাপতি বলেন, ‘জঙ্গিবাদকে সমূলে উৎপাটন করতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এ ব্যাপারে সরকারি দলের ছাত্র সমর্থকদের দায়িত্বও বেশি। কিন্তু তারা ক্যাম্পাসে থাকলেও নানা অপকর্মে ব্যস্ত। তাদের চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজি বন্ধ করতে হবে। সবাইকে স্বাভাবিক রাজনৈতিক চর্চার সুযোগ দিতে হবে। কিন্তু সে ব্যাপারে তাদের কোনো উদ্যোগ আছে বলে মনে হয় না।’ রাজিব আহসান বলেন, ‘এরই মধ্যে ঢাকায় আমরা ছাত্রদলের সব ইউনিটের সঙ্গে বৈঠক করেছি। সবার সঙ্গেই জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে করণীয় নিয়ে খোলামেলা মতামত নেওয়া হয়েছে। সব নেতাই এর বিরুদ্ধে সোচ্চার। আমরা চাই জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ মুক্ত শিক্ষাঙ্গন। একইভাবে চাই দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা। কিন্তু সরকার ও তাদের সমর্থিত ছাত্র সংগঠনগুলো এমন কোনো অপকর্ম নেই যে করছে না। সাধারণ মানুষের আজ নিরাপত্তা নেই। দেশে মৌলিক মানবাধিকার নেই। রাজনৈতিক নেতৃত্বেও নেই সহাবস্থান। জাতীয় রাজনীতিতেও আজ গুণগত পরিবর্তন জরুরি।’

সর্বশেষ খবর