সম্মাননা প্রদান, কথামালা ও সংগীতাসরের মধ্য দিয়ে শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত ভূপেন হাজারিকার ৯০তম জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠানমালা গতকাল শেষ হয়েছে। সন্ধ্যায় জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে এই সমাপনী আসরে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন আসফ খান, আসামের সাংবাদিক অজিত ভুঁইয়া। আয়োজক সংগঠন ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ-এর ঢাকা চ্যাপ্টারের সভাপতি এ এস এম শামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, আসামের গায়ক কালিকা প্রসাদ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে গওহর রিজভী বলেন, ‘কিংবদন্তি এই শিল্পী এসেছিলেন আমার বাসায়। আমার বাসায় তার গানের আসর বসেছিল। সেই স্মৃতি কখনো ভোলার নয়।’ ভূপেন হাজারিকাকে উত্তর-পূর্ব ভারতের ‘সবচেয়ে বড় অ্যাম্বাসেডর’ উল্লেখ করে আসামের শিল্পী কালিকা প্রসাদ বলেন, ‘ভূপেন হাজারিকা যখন রাজনীতিতে পদার্পণ করলেন, ভোটে দাঁড়ালেন, তার প্রতিপক্ষ তখন মন্তব্য করেছিলেন, মানুষ ভুল করতে পারে, কিন্তু ভূপেন হাজারিকা তো ভোটে দাঁড়িয়ে ভুল করতে পারেন না।’ অনুষ্ঠানে ভূপেন হাজারিকা ট্রাস্টের পক্ষ থেকে শিল্পী আসফ খানকে ‘ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা সমন্বয় বটা’ সম্মাননা দেওয়া হয়। অনুভূতিতে আসফ খান বলেন, ‘আমি এর আগে অনেক সম্মাননা গ্রহণ করিনি। কিন্তু আজকের এই পদকে ভূপেন হাজারিকার নামটি থাকায় আমি আর না করতে পারিনি।’ আসামের সাংবাদিক অজিত ভুঁইয়া বলেন, ‘ভূপেন হাজারিকা তার কালে হয়ে উঠেছিলেন সাম্যবাদের প্রবক্তা।’