শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

দ্বিতীয় দফা কমছে জ্বালানি তেলের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি বছর সরকার দ্বিতীয় দফায় জ্বালানি তেলের দাম কমাতে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে দেশে ফেরার পরই এ বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সে সময় একই সঙ্গে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির বিষয়েও উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে। গতকাল বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে এটি জানা যায়। জ্বালানি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, তেলে লিটারপ্রতি কত টাকা কমানো হবে, তা আয়-ব্যয়ের হিসাব পর্যালোচনা ও আলোচনা করে ঠিক করা হবে। আর আগামী এক মাসের মধ্যেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে। তবে এর আগে চলতি বছরের এপ্রিলে জ্বালানি তেলের দাম কমানো হলেও এরপর পরিবহন ভাড়া কমেনি। জানা যায়, পেট্রলের ব্যবহার বৃদ্ধি করার জন্যও তেলের দাম কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যদিও এর আগে কয়েক ধাপে তেলের দাম কমানো হবে বলে জানানো হয়েছিল। সে সময় ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রল ও অকটেনের দাম গড়ে ৭ দশমিক ৩৩ শতাংশ কমানো হয়েছিল। ফলে ডিজেল ও কেরোসিন লিটারপ্রতি ৩ এবং অকটেন ও পেট্রল ১০ টাকা কমানো হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে অব্যাহতভাবে তেলের দাম কমার প্রায় দুই বছর পর বাংলাদেশে তেলের দাম কমানো হয়। আর জ্বালানি তেলের দাম কমানোর পরও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) তেল বিক্রি করে লাভ করছে। ডিজেল ও কেরোসিনে ৩ টাকা কমানোর পরও লিটারপ্রতি বিপিসির লাভ হচ্ছে ১৭ টাকা। অকটেনে লিটারপ্রতি লাভ হচ্ছে ২৫ আর পেট্রলে ২০ টাকা। সংস্থাটি জানায়, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে জ্বালানি তেল বিক্রিতে লাভ হয়েছে ১০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। আর তেলের বর্তমান দাম বজায় থাকলে বিপিসি চলতি অর্থবছরে লাভ করবে ১২ হাজার কোটি টাকা। অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মুনাফা হয়েছে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা। এর আগে ৩১ মার্চ ফার্নেস তেলের দাম লিটারপ্রতি ১৮ টাকা কমিয়ে ৪২ টাকা করা হয়। সে সময় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ অন্য জ্বালানি তেলের দাম কমানো হবে বলেও জানিয়েছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর