শিরোনাম
সোমবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

প্রধানমন্ত্রীর ছবি সাঁটিয়ে অটো স্ট্যান্ড দখল

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর বাজারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সাঁটিয়ে শ্রমিক লীগের ব্যানারে পাবলিক টয়লেট দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়াও তারা অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল করে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দখল পাকাপোক্ত এবং প্রভাব বজায় রাখতে দখলকারীরা বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের এক তরুণ নেতার ছবিসহ একটি প্লাকার্ড টাঙিয়েছেন।

রহমতপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. দেলোয়ার  হোসেন জানান, বাজারের ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে কয়েক বছর আগে এলজিইডি একটি পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করে। বিনামূল্যে টয়লেট ব্যবহার করা হলেও টয়লেট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নসহ পানির পাম্পের বিল এবং একজন কর্মচারীর বেতন দেওয়া হয় বাজারের ব্যবসায়ীদের চাঁদার টাকায়। টয়লেটের পাশেই একটি শেড দিয়ে সেখানে রহমতপুর বাজার থেকে দেহেরগতির দারোগারহাট রুটে চলাচলকারী ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ এবং সিরিয়াল দেওয়া হয়। গত শুক্রবার জেলা অটোরিকশা ও আলফা শ্রমিক ইউনিয়নের ব্যানারে ওই অটোরিকশা স্ট্যান্ড এবং পাবলিক টয়লেট দখল করে পূর্ব দেহেরগতি গ্রামের বখাটে জহিরুল ইসলাম সোহাগ ও তার সহযোগীরা। তারা অটোরিকশার সিরিয়াল নিয়ন্ত্রণকারীদের মারধর করে তাড়িয়ে দিয়ে স্ট্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ নেয়। পরে তারা পাবলিক টয়লেটের দেয়ালে জেলা অটোরিকশা ও আলফা শ্রমিক ইউনিয়নের একটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়। দখল পাকাপোক্ত করতে তারা পাবলিক টয়লেটের দেয়ালে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি সাঁটিয়ে দেয়। এ ছাড়া বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের এক তরুণ নেতার ছবিসহ দখলকারীদের ছবি দিয়ে একটি প্লাকার্ড টাঙিয়ে দেয় তারা। এরপর তারা রহমতপুর বাজার-দারোগারহাট রুটে চলাচল করা প্রতিটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা থেকে দৈনিক বাধ্যতামূলকভাবে ২০ টাকা এবং পাবলিক টয়লেট ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে জনপ্রতি ৫ টাকা হারে চাঁদা আদায় শুরু করে। রহমতপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, যারা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি সাঁটিয়ে পাবলিক টয়লেট কিংবা অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল করেছে তারা শ্রমিক লীগ কিংবা আওয়ামী লীগের কেউ নয়। টয়লেটে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি টাঙিয়ে তাদের অবমাননা করা হয়েছে। গতকাল ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা একত্রিত হয়ে দখলকারীদের বিতারিত করেছে। উপজেলা মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি কাজী মহিদুল ইসলাম লিটন বলেন, রহমতপুর বাজারের পাবলিক টয়লেটসহ অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখলের উদ্দেশে বঙ্গবন্ধু আর প্রধানমন্ত্রীর ছবির অপব্যবহারকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। মেট্রোপলিটনের বিমানবন্দর থানার ওসি মো আনোয়ার হোসেন বলেন, রহমতপুর বাজারের পাবলিক টয়লেটে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি সাঁটিয়ে একটি পক্ষ সেখানে অটোরিকশার স্ট্যান্ড করে চাঁদাবাজি করতে চেয়েছিল। অটোরিকশার সিরিয়াল দেওয়া নিয়ে স্থানীয় দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষকেই সেখান থেকে সরিয়ে দিয়েছে। কোনো পক্ষকেই সেখানে চাঁদাবাজি করতে দেওয়া হবে না বলে জানান ওসি।

সর্বশেষ খবর