শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

নোবেল বিজয়ী ৬ আমেরিকানই অভিবাসী!

প্রতিদিন ডেস্ক

অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, এ বছর নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত ৬ আমেরিকানই অভিবাসী। সর্বশেষ গত সোমবার ঘোষিত অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অলিভার হার্ট এবং বেঙ্ট হল্মস্টর্মও অভিবাসী। অলিভার হার্ট এসেছেন যুক্তরাজ্য থেকে, আর হল্মস্টর্ম এসেছেন ফিনল্যান্ড থেকে। খবর : নিউইয়র্ক থেকে এনআরবি নিউজের। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, তারা দুজনই উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন শেষে পিএইচডি করতে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন। ১৯৭৪ সালে প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি থেকে গ্র্যাজুয়েশন করেছেন হার্ট এবং হলমস্টর্ম গ্র্যাজুয়েশন করেছেন ১৯৭৮ সালে স্ট্যানফোর্ড থেকে। অন্য অভিবাসীদের মতো তারাও আমেরিকায় স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য আমেরিকানকে বিয়ে করেন। উভয়েই সপরিবারে ম্যাসেচুসেটস অঙ্গরাজ্যে বাস করছেন। এ বছর আরও ৪ আমেরিকান নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। রসায়নে নোবেল প্রাপ্ত স্যার জে ফ্র্যাস্টার স্টোডার্ট যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন যুক্তরাজ্য থেকে। তিনি শিক্ষকতা করছেন নর্থওয়েস্টার্নে। পদার্থ বিজ্ঞানে পুরস্কারপ্রাপ্ত ডেভিড থাউলেস, মাইকেল কস্টারলিটজ এবং ডানকান হ্যাল্ডেন যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন যুক্তরাজ্য থেকে। তারা স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন আমেরিকায়। ব্রিটেনের শিক্ষা ব্যবস্থার সুফল হিসেবে এসব কৃতি অর্থনীতিবিদ, বিজ্ঞানী আর গবেষকরা গড়ে উঠলেও যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পরিবেশ তাদের আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়।

অভিবাসী প্রসঙ্গটি এসেছে ঠিক তখনই যখন রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থীসহ কংগ্রেসের রিপাবলিকান সদস্যরা অভিবাসনবিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন। এই সঙ্গে তারা বৈধ হতে না পারা সোয়া কোটি অভিবাসীকে ঢালাওভাবে বহিস্কারের পরিকল্পনা করছেন এবং অভিবাসীদের কারণে ‘আমেরিকানরা কাজ পাচ্ছেন না’ বলে প্রচারণা চালাচ্ছেন। ঠিক এরকম পরিস্থিতিতে দেখা যাচ্ছে এই মেধাবী অভিবাসীর স্বীকৃতিতেই উজ্জ্বল হয়ে আছে আমেরিকা। অর্থাৎ অভিবাসীরা মেধার সর্বোচ্চ বিনিয়োগ ঘটিয়ে আমেরিকার ইমেজ আরও বাড়িয়েছেন। দেখা যাচ্ছে, বিশ্বে সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাষ্ট্র হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানকে সুসংহত করতে অভিবাসীরাও নিরন্তরভাবে কাজ করছেন। নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্তদের ব্যাপারে খোঁজ-খবর রাখা ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর আমেরিকান পলিসির কর্মকর্তা স্টুয়ার্ট এন্ডারসন জানান, ২০০০ সাল থেকে রসায়ন, মেডিসিন এবং পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ী ৭৮ আমেরিকানের ৩১ জন তথা ৪০% হলেন অভিবাসী। যারা যুক্তরাজ্য, জাপান, কানাডা, তুরস্ক, অস্ট্রিয়া, চীন, ইসরায়েল, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং জার্মানি থেকে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন।

সর্বশেষ খবর