রবিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

চীনের প্রযুক্তিতে হবে জটিল রোগের ওষুধ

----------আবদুল মুক্তাদির

চীনের প্রযুক্তিতে হবে জটিল রোগের ওষুধ

ক্যান্সারের মতো জটিল রোগের ওষুধ চীনের প্রযুক্তি দিয়ে বাংলাদেশেই তৈরি করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন দেশের শীর্ষ ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবদুল মুক্তাদির। ফলে দেশে মেডিকেল ট্যুরিজম বাড়বে— এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেছেন, আগামী ৫ থেকে ৭ বছরে দেখা যাবে, অনেক জটিল রোগের চিকিৎসার ওষুধ বাংলাদেশে পাওয়া যাচ্ছে। চীনের  রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের ঢাকা সফরের মূল্যায়ন করে বাংলাদেশ ওষুধশিল্প সমিতির এই উপদেষ্টা আরও বলেন, বিশ্বে ওষুধশিল্পে আগামী ২০৩৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের মেধাস্বত্ব আইন প্রয়োগ হবে না। অর্থাৎ এই সময়টা আমাদের জন্য বর্ধিতকরণ করা হয়েছে। এখন দুনিয়াতে নতুন নতুন ওষুধ বের হচ্ছে। যেমন— ডায়াবেটিস, ক্যান্সারের মতো জটিল রোগের অনেক চিকিৎসা বের হচ্ছে। যার চিকিৎসার সব ওষুধই মেধাস্বত্ব আইনের মধ্যে পড়ে। আবদুল মুক্তাদির বলেন, ওইসব ওষুধ এখন বাংলাদেশ বানাতে পারবে। আমরা যদি এই ওষুধগুলো তৈরি করি, তাহলে যে ওষুধের দাম এখন অনেক বেশি, তা অনেক কম দামে আমরা মানুষকে দিতে পারব। তখন এসব জটিল রোগের ওষুধ আমরা ওইসব দেশে রপ্তানি করতে পারব না ঠিকই, কিন্তু সেসব দেশের রোগীরা আমাদের দেশে এসে চিকিৎসা নিতে পারবেন। এতে কোনো সমস্যা নেই। সে জন্য আগামী ৫ থেকে ৭ বছরে দেখা যাবে— অনেক জটিল রোগের চিকিৎসার ওষুধ বাংলাদেশে পাওয়া যাচ্ছে। তিনি বলেন, ভারত এবং চীনে ওইসব ওষুধের চালান থাকবে না। থাকলেও সেগুলো অনেক বেশি দামি হবে। তখন ওইসব দেশ থেকে রোগীরা বাংলাদেশে এসে চিকিৎসা নেবে এবং ওইসব ওষুধ নিয়ে যাবে। এটাকেই বলা হয় মেডিকেল ট্যুরিজম। বাংলাদেশে এই হেলথ ট্যুরিজমের প্রসার ঘটবে। তার মতে, এসব ওষুধ তৈরির প্রযুক্তিতে চীন এগিয়ে আছে। কিন্তু চীনের প্রযুক্তি থাকলেও জটিল রোগের ওষুধ বানাতে পারছে না। সুতরাং ওইসব প্রযুক্তি বাংলাদেশে এনে যৌথভাবে শিল্প গড়ে তুলতে পারব। এ প্রসঙ্গে চীনের রাষ্ট্রপতিও বলেছেন— আমরা শুধু বাংলাদেশকে টাকা-পয়সা দিয়েই সাহায্য করব তা নয়, আমরা প্রযুক্তি দিয়েও সহায়তা করব।  আবদুল মুক্তাদির বলেন, যৌথ কোম্পানি করে শিল্প হলে চীনের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে আসবে। অথবা আমাদের দেশে প্রযুক্তি বিক্রি করবে চীন। তখন আমরা প্রথমদিকে সেই প্রযুক্তি দিয়ে ওষুধ তৈরি করব। পরে আমরা প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটিয়ে নিজেরাই ওইসব ওষুধ তৈরি করতে পারব। তার মানে দুই ধরনের সহযোগিতা সম্ভব। একটা হলো— যেই ধরনের প্রযুক্তি আমাদের নেই, সেসব প্রযুক্তি ট্রান্সফার হবে চীন থেকে বাংলাদেশে এবং যে ওষুধ তৈরি হবে সে ওষুধ বাংলাদেশ ও চীনসহ অন্যান্য দেশের জনগণ বেশি ভোগ করবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর