বুধবার, ২ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

আইএসের মুক্তাঞ্চল পশ্চিমবঙ্গ!

চলছে সশস্ত্র প্রশিক্ষণ উদ্বিগ্ন ভারতীয় গোয়েন্দারা

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

অরক্ষিত সীমান্ত হওয়ার কারণে বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবি কিংবা পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই)-এর কাছে ধীরে ধীরে মুক্তাঞ্চল হয়ে উঠছে পশ্চিমবঙ্গ। রাজ্যের ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি)-এর এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত বরাবর ফাঁকফোকর থাকায় জঙ্গি সংগঠনগুলো এ পথ দিয়ে ভারতে প্রবেশ করছে এবং অন্য রাজ্যেও গোপন ঘাঁটি গাড়ছে।

তিনি আরও জানান ‘জেএমবি, আইএসআই কিংবা ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর মতো সংগঠনগুলো এ রাজ্যে প্রবেশ করে তাদের সদস্য নিয়োগ করছে এবং প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। গত ২৬  সেপ্টেম্বর আসাম ও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে জেএমবির ছয় শীর্ষ জঙ্গিকে আটক করে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)।

যার মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশের মোস্ট ওয়ান্টেড আনোয়ার হোসেন ফারুক ওরফে ইনাম ওরফে কালো ভাই। এ ছয় জঙ্গির মধ্যে পাঁচজনই ২০১৪ সালের অক্টোবরে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার খাগড়াগড় বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত। এ জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গে জিহাদি কর্মকাণ্ড চালানোর পাশাপাশি প্রতিবেশী বাংলাদেশেও নাশকতা করার ছক ছিল। ভারতের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ’র জেরায় আসিকের সঙ্গে আইএসের সম্পৃক্ততার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। জেরায় জানা যায়, পশ্চিমবঙ্গে আইএসের শাখা গড়ে তোলার দায়িত্ব ছিল আসিকের ওপর এবং ধরা পড়ার আগে পর্যন্ত অত্যন্ত সুনিপুণভাবে সেই দায়িত্ব সামলাচ্ছিল আসিক। কলকাতা পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক সীমান্তের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের কৌশলগত অবস্থান এবং ঢিলেঢালা নিরাপত্তার জন্যই শেষ কয়েক বছরে এ রাজ্যে এরকম একাধিক ঘটনা ঘটেছে। গত বছরের ডিসেম্বর মাসেই পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই’র সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে এক শ্রমিক, ভুয়া পাসপোর্ট তৈরি চক্র, এক কলেজ শিক্ষার্থী, এক বারটেন্ডারকে (মদের দোকানের পরিবেশক) আটক করে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ।

 কলকাতা শহরের প্রাণকেন্দ্র থেকে আটক করা ওই বারটেন্ডারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় শহরজুড়েই জেঁকে বসেছে আইএসআই জাল। যা গোয়েন্দাদের কাছে অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়।

সর্বশেষ খবর