সোমবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

চাই দাবির প্রতিফলন

—— জসিম উদ্দিন

চাই দাবির প্রতিফলন

দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন হিসেবে এফবিসিসিআই নির্বাচনে সাধারণ ব্যবসায়ীদের ভোটাধিকার রক্ষায় বাণিজ্য সংগঠনে সংস্কারের বিকল্প নেই বলে মনে করেন সংগঠনটির সাবেক প্রথম সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, নেতা নির্বাচনে সাধারণ ব্যবসায়ীদের চাওয়া-পাওয়ার প্রতিফলন ভোটে থাকা উচিত। সাধারণ ব্যবসায়ীদের ভোটে নির্বাচিত যোগ্য নেতারা সরকারের নীতি-প্রণয়নের ক্ষেত্রেও ভালো ভূমিকা রাখতে পারেন।

বাণিজ্য সংগঠন সংস্কারে সরকারের নেওয়া উদ্যোগের প্রশংসা করে তিনি বলেন, এফবিসিসিআইতে অতীতে সব পদে সরাসরি নির্বাচন ছিল। কিন্তু সেটি এখন নেই। কিন্তু সাধারণ ব্যবসায়ীরা সভাপতি, সহ-সভাপতি ও সব পরিচালক পদে সরাসরি নির্বাচন চান। সাধারণ ব্যবসায়ীদের প্রাণের দাবির সঙ্গে আমিও একমত পোষণ করে বলতে চাই, এফবিসিসিআইর সংস্কার হওয়া উচিত। এটি শুধু ভোটের জন্য নয়। ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব বাছাইয়ের জন্য সংস্কার এখন সময়ের দাবি। বহুদিনের প্রতীক্ষিত ও সাধারণ ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা পূরণে সংস্কার হওয়া উচিত। আবার এফবিসিসিআইর কর্মকাণ্ড যেহেতু বেড়েছে, তাই সহ-সভাপতি হিসেবে আরও দুটি পদ বাড়ানো উচিত। এফবিসিসিআইর প্রতিষ্ঠানিক ক্ষমতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করে জসিম উদ্দিন বলেন, এফবিসিসিআই শক্তিশালী হলে সরকারের উদ্যোগে বিভিন্ন সময়ে নীতি প্রণয়নে ব্যবসায়ীরাও ভালো সহযোগিতা করতে পারবেন। সংস্কার প্রস্তাবকে ইতিবাচক উল্লেখ করে এই শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতা বলেন, সংস্কার কমিটি সভাপতিসহ সব পদে সরাসরি ভোটের দিকে এগোচ্ছে। সাধারণ ব্যবসায়ীরাও মনোনীত পরিচালক প্রথা বাতিল করে সভাপতি, সহ-সভাপতি ও সব পরিচালক পদে সরাসরি ভোট চান। এত দিন সাধারণ ব্যবসায়ীদের দাবি আদায়ের বিষয়টি উপেক্ষিত ছিল। এফবিসিসিআই পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ দুই বছর থেকে বাড়িয়ে তিন বছর নির্ধারণের উদ্যোগ ইতিবাচক। ভবিষ্যতে এফবিসিসিআইতে যে ৬০ জন পরিচালক হবেন, তাদের ৩০ জন চেম্বার ও ৩০ জন অ্যাসোসিয়েশন থেকে। এই পরিচালকরাই সভাপতি, প্রথম সহ-সভাপতি ও সহ-সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন। সাধারণ পরিষদের অ্যাসোসিয়েশন ও চেম্বার গ্রুপের সব পদাধিকারী সভাপতি বা চেয়ারম্যান এবং নবনির্বাচিত ৬০ পরিচালকের ব্যক্তিগত উপস্থিতিতে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে সরাসরি সভাপতি ও সহ-সভাপতি পদে এ নির্বাচনের প্রস্তাব ইতিবাচক। দেশের অন্যতম শিল্পপরিবার বেঙ্গল গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বলেন, এফবিসিসিআইর বোর্ডসভায় উত্থাপিত নতুন একটি প্রস্তাব এখন সবার কাছে আলোচিত। প্রস্তাবটি হলো, বর্তমান পদ্ধতি বহাল রেখে প্রথম সরাসরি ভোটে ১৬ জন চেম্বার ও ১৬ জন অ্যাসোসিয়েশন থেকে পরিচালক নির্বাচিত হবেন। নির্বাচিত ৩২ জন পরিচালকের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে সভাপতি, প্রথম সহ-সভাপতি ও সহ-সভাপতি নির্বাচিত হবেন। এই প্রক্রিয়া শেষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মনোনীত পরিচালকরা বোর্ডে সব কার্যক্রমে অংশ নেবেন। অর্থাৎ মনোনীত পরিচালকরা এফবিসিসিআইর সভাপতি, প্রথম সহ-সভাপতি ও সহ-সভাপতি পদে আসতে পারবেন না। কিন্তু তারা বোর্ডসভাসহ সংগঠনটির অন্যান্য কাজে সমান তালে ভূমিকা রাখতে পারবেন। এতে সবার কাছে প্রত্যাশিত ও গ্রহণযোগ্য সংস্কার দৃশ্যমান হবে বলেও মত এই ব্যবসায়ী নেতার।

সর্বশেষ খবর