সোমবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

খুলে দেওয়া হলো সিটিসেল

নিজস্ব প্রতিবেদক

আইনি লড়াইয়ের পর গতকাল থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে বেসরকারি মোবাইল অপারেটর সিটিসেলের তরঙ্গ। গতকাল বিকালে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি সিটিসেলের তরঙ্গ খুলে দেয়। দেনার দায়ে এ প্রতিষ্ঠানটির তরঙ্গ স্থগিত করেছিল বিটিআরসি।

গতকাল বিকালে বিটিআরসি কার্যালয়ে এক বিশেষ সভা শেষে সংস্থার চেয়ারম্যান শাজাহান মাহমুদ বলেন, ‘সিটিসেল খুলে দিতে আমাদের একটি টিম সিটিসেল অফিসে যাবে।’

বকেয়া পাওনা পরিশোধ না করায় ২০ অক্টোবর সিটিসেলের তরঙ্গ স্থগিত করা হয়। এরপর সিটিসেল কার্যক্রমে ফেরার আবেদন নিয়ে আপিল বিভাগে গেলে সর্বোচ্চ আদালত       থেকে বৃহস্পতিবার এক নির্দেশনা দেওয়া হয় অবিলম্বে সিটিসেলের তরঙ্গ খুলে দেওয়ার। ওই আদেশে বলা হয়, ১৯ নভেম্বরের মধ্যে সিটিসেল বকেয়ার ১০০ কোটি টাকা পরিশোধ না করলে আবারও তরঙ্গ বন্ধ করে দিতে পারবে বিটিআরসি। কিন্তু আদালতের ওই আদেশের দুই দিন পার হওয়ার পরও তরঙ্গ ফিরে না পেয়ে সিটিসেল কর্তৃপক্ষ গতকাল সকালে ফের আদালতে যায়। তাদের আবেদনের শুনানি করে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারকের বেঞ্চ এ বিষয়ে বিটিআরসির ব্যাখ্যা জানতে চান। আদালতের নির্দেশনার পরও সিটিসেলের তরঙ্গ কেন খুলে দেওয়া হয়নি, তা বেলা সাড়ে ১১টার মধ্যে জানাতে বলা হয়। পরে বিটিআরসির পক্ষ থেকে আদালতকে জানানো হয়, সিটিসেলের তরঙ্গ খুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে এবং এ বিষয়ে বিকেলে মিটিং ডাকা হয়েছে। এরপর গতকাল বিকালেই সিটিসেলের তরঙ্গ খুলে দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, পৌনে পাঁচশ কোটি টাকা বকেয়া পরিশোধের জন?্য কয়েক দফা তাগাদা দিয়েও তা না পেয়ে জুলাইয়ে সিটিসেলের কার্যক্রম বন্ধ করার উদ্যোগের কথা জানায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। পরের মাসে সিটিসেলকে নোটিশ দেওয়া হয়। ওই নোটিশের বিরুদ্ধে সিটিসেল হাইকোর্টে যায়। শুরু হয় আইনি লড়াই। এরই এক পর্যায়ে ২০ অক্টোবর সিটিসেলের তরঙ্গ স্থগিত করে বিটিআরসি। ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশের প্রথম মোবাইল ফোন অপারেটর হিসেবে লাইসেন্স পায় বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড (বিটিএল), যা পরে মালিকানার হাতবদলে সিটিসেলে পরিণত হয়। সর্বশেষ তথ?্য অনুযায়ী, এ কোম্পানির ৩৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ শেয়ারের মালিক বিএনপি নেতা এম মোরশেদ খানের প্যাসিফিক মোটরস লিমিটেড। এ ছাড়া সিঙ্গাপুরের সিংটেল এশিয়া প্যাসিফিক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ৪৫ শতাংশ এবং ফার ইস্ট টেলিকম লিমিটেড ১৭ দশমিক ৫১ শতাংশ শেয়ারের মালিক।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর