বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

‘বেকার টমেটো’র চাহিদা বাড়ছে

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

‘বেকার টমেটো’র চাহিদা বাড়ছে

কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন বাসার ছাদের সবজি বাগানে বাড়ছে ‘বেকার টমেটো’র চাহিদা। এ টমেটোর নামকরণকারী নগরীর বজ্রপুর এলাকার দ্বি-রত্ন বাসার বাসিন্দা মো. ইসমাঈল। তিনি তার ৫তলা বাড়ির ছাদে ইট-মাটি দিয়ে বেড তৈরি করে তাতে বেকার টমেটোর চাষ করছেন। ছাদেই গ্রাফটিং করে টমেটোর চারা তৈরি করছেন। এ চারা থেকে বেশি ফলন পাওয়া যায়। গাছে রোগের আক্রমণ কম হয়। তার কাছ থেকে চারা নিয়ে অন্য বাসার ছাদেও প্রতিবেশীরা এ টমেটোর চাষ করছেন। ‘বেকার টমেটো’ নামকরণ করার কারণ হিসেবে তিনি জানান, যে বন বেগুন দিয়ে গ্রাফটিং করা হয় তা আগে কোনো কাজে লাগেনি, বেকার পড়ে ছিল। তাই এ নামকরণ করা হয়। মো. ইসমাঈল জানান, তিনি দুবাইতে নিরাপত্তা বাহিনীতে কাজ করতেন। দেশে ফিরে এসে ব্যবসায় নিয়োজিত হন। তবে কিশোরকালে কুমিল্লা সদর দক্ষিণে নিজ গ্রামের কৃষি কাজের মায়া তিনি ভুলতে পারেননি। তার ইচ্ছা হয় ছাদে কিছু সবজি করার। তিনি প্রথমে ডাটা, লাউ ও পুই শাক চাষ করেন, পরে টমেটো চাষ করেন। তবে টমেটো বর্ষাকালে নষ্ট হয়ে যায়। পরে তিনি বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন বন বেগুনের (এক ধরনের আগাছা জাতীয় গাছ) সঙ্গে গ্রাফটিং করলে বর্ষায় আর গাছ নষ্ট হবে না। তিনি সিলেট পাহাড়ি এলাকা থেকে বন বেগুনের বীজ সংগ্রহ করেন। তিনি জানান, এক মাস বয়সী বন বেগুনের চারা পলি ব্যাগে নিতে হবে। সেখানে এক মাস রাখার পর উন্নত জাতের এক মাস বয়সী টমেটোর সঙ্গে গ্রাফটিং করতে হবে। তারপর গ্রাফটিং করা চারা ২০/২৫দিন পর রোপণ করতে হবে। সাধারণ টমেটো গাছ থেকে ২/৩ কেজি টমেটো পেলেও গ্রাফটিং করা টমেটো গাছ থেকে দ্বিগুণ ফসল পাওয়া যায়। টমেটোসহ ছাদে সবজি চাষ নগরীর স্কুলগুলোর ছাদে করা যেতে পারে। এতে শিক্ষার্থীরা হাতে কলমে কৃষির জ্ঞান পাবে। হর্টিকালচার সেন্টার কুমিল্লার উপ-সহকারী উদ্যান কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ইসমাঈল সাহেবের ছাদের টমেটো বাগান পরিদর্শন করেছি। এটি একটি ভালো উদ্যোগ। অন্যরাও এরকম করে ছাদে টমেটো ও সবজি চাষ করে বিষমুক্ত সবজি পেতে পারেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর