শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

ধর্ষণ ও সহিংসতা রোধে আলাদা মন্ত্রণালয় করুন : মহিলা পরিষদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ধর্ষণসহ সামাজিক অস্থিরতা ও নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে আলাদা মন্ত্রণালয় গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম। এর যুক্তি হিসেবে তিনি তুলে ধরেছেন : নারী নির্যাতনসংক্রান্ত যে কোনো বিষয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন মন্ত্রণালয়ের স্মারক দেওয়া হলে তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে  আরও একটি কপি দিতে বলেন; যার ফলে সমন্বয়হীনতা দেখা যায়। দুটি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে আলাদা একটি মন্ত্রণালয় গঠন হলে একাধিক স্থানে দৌড়ানোর প্রয়োজন পড়বে না। ফলে ধর্ষণের মতো ঘটনা প্রতিরোধে দ্রুত কার্যক্রম গ্রহণ করা যাবে। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব বলেন তিনি। এর আগে এ বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত মোট ৪ হাজার ১৪৪ জন নারী বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। সংগঠনটির লিগ্যাল এইড বিভাগের পরিচালক মাকসুদা আক্তার লাইলি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, এই সময়ের মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৮৭৫ জন। এর মধ্যে গণধর্ষণের শিকার ১৩৪ জন। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৩১ জনকে, ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ১৪০ জনকে। উত্ত্যক্ত ও যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন ৩৩১ জন। এর মধ্যে উত্ত্যক্ত করা হয়েছে ২৪০ জনকে। উত্ত্যক্তের কারণে আত্মহত্যা করেছেন ৮ জন, প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় নির্যাতন করা হয়েছে ১২ জনকে এবং যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৭১ নারী। নারীবান্ধব স্বাধীন বিচারব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বিশেষ কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় নারীর প্রতি সহিংসতা দিন দিন বেড়ে চলেছে। এ পরিস্থিতিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে মহিলা পরিষদের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। গতকাল থেকে শুরু করে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত আলোচনা সভা, সমাবেশ, পোস্টার, প্রচারপত্র, স্মারকলিপি, মতবিনিময়, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শোভাযাত্রাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহসভাপতি নাহার আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, যুগ্ম-সম্পাদক সীমা মোসলেম, রাখী দাশ পুরকায়স্থ প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর