ঢাকার লালবাগ কেল্লায় সংরক্ষণ করে রাখা নানা সময়ের আন্দোলন-সংগ্রাম এবং হাজার বছরের ঐতিহ্যকে এবার দেখা যাবে আধুনিক প্রযুক্তিতে। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে দর্শনার্থীরা ঘটনা বা ইতিহাসের সময়-ক্ষণ যেমন শুনতে পাবেন, তেমন দেখতে পাবেন ঘটনাস্থলও।
গতকাল লালবাগ কেল্লায় এই আধুনিক প্রযুক্তির উদ্বোধন করেছেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কথার শব্দ চয়নে ছন্দের বাণী আর নয়নের সামনে ফুটে ওঠা আলোকে ইতিহাসের একটি ঘটনা বোঝাতে নতুন প্রযুক্তি হিসেবে ব্যবহার করা হবে লাইটিং এবং সাউন্ড। লেজারের আলোতে দেখা যাবে বিভিন্ন চিত্র। শোনা যাবে শব্দ। যার মাধ্যমে ভেসে আসবে পেছনের সব ইতিহাসের কথা। জানা যাবে ১৭৫৭, ১৮৫৭, ১৯৪৭ ও ১৯৭১-এ কি হয়েছিল, কোথায় হয়েছিল এবং কীভাবে হয়েছিল সব। সঙ্গে সঙ্গে এসব স্থানের ছবিও ধারাবাহিকভাবে ভেসে উঠবে লালবাগের সীমানাপ্রান্তের ভিতর। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে ‘খুঁজলে পাবি শিখরের শাখা’ নামে ১০ মিনিটের একটি ডুকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। যাতে দেশের ভিতরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নানা প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ও স্থাপনার দৃশ্য তুলে ধরা হয়। এ সময় সংস্কৃতি সচিব বেগম আকতারিনা মমতাজ, প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের মহাপরিচালক আলতাফ হোসেন, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান ও সাউথ এশিয়া ট্যুরিজম অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের পরিচালক আবু বকর সিদ্দিক উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রত্নতত্ত্ব ও সংস্কৃতিকে বিশ্ব এবং তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে নিত্যনতুন ডুকেমেন্টারি তৈরি করতে হবে। যার মাধ্যমে আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্যগুলো চিরদিন অটুট থাকবে। বিশ্ববাসীও বাংলাদেশকে চিনবে ভিন্নভাবে। সাউথ এশিয়া ট্যুরিজম অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের পরিচালক আবু বকর সিদ্দিক জানান, লালবাগে বিশ্বের বিভিন্ন পর্যটক, ইতিহাসবিদ ও গবেষক বেড়াতে আসেন। নতুন প্রযুক্তির মধ্যদিয়ে আমরা নতুনভাবে সহজেই তাদের কাছে তথ্য তুলে ধরতে পারব। সব মিলিয়ে নতুন প্রজন্মও জানতে পারবে সঠিক ইতিহাস-ঐতিহ্য।