বুধবার, ১১ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা
আইজিপি বললেন, বিচ্ছিন্ন ঘটনা

ছাত্রশিবির সভাপতিসহ আরও ২ জন আটক

এমপি লিটন হত্যাকাণ্ড

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

ছাত্রশিবির সভাপতিসহ আরও ২ জন আটক

দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত এমপি লিটন হত্যার ঘটনায় গাইবান্ধা শহর ছাত্রশিবিরের সভাপতি আব্দুল্যা আল মামুনসহ দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার দিবাগত রাতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটক অপর ব্যক্তির পরিচয় পুলিশ জানায়নি। সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি আতিয়ার রহমান জানান, গাইবান্ধা শহর ছাত্রশিবিরের সভাপতি আব্দুল্যা আল মামুনসহ দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শাহবাজ গ্রামে নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তের ছোড়া গুলিতে আহত হন গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের এমপি মনজুরুল ইসলাম লিটন। আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় লিটনের বোন তাহমিদা বুলবুল বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামি করে ১ জানুয়ারি রাতে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

এমপি লিটনের খুনিদের অবশ্যই শনাক্ত করে বিচার করা হবে : আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, সুন্দরগঞ্জের সংসদ সদস্য মনজুরুল ইসলাম লিটনের খুনিদের অবশ্যই শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনা হবে। ২০১৩ সাল থেকে যত হত্যাকাণ্ড হয়েছে প্রতিটি ঘটনা পুলিশ শনাক্ত ও উদঘাটন করতে পেরেছে। অপরাধ করে কেউ রক্ষা পায়নি। তাই লিটনকে সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা করলেও অপরাধীরা বেঁচে যেতে পারবে না। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গা আবদুল হক ডিগ্রি কলেজ মাঠে গতকাল জেলা পুলিশের আয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আইজিপি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি যে এলাকায় থাকে সেই এলাকাই সন্ত্রাসী জনপদে পরিণত হয়। তবে এলাকার মানুষ ও প্রশাসনের সহযোগিতায় সুন্দরগঞ্জকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিমুক্ত জনপদ হিসেবে আমরা গড়ে তুলতে চাই। তিনি বলেন, অধিকাংশ জঙ্গিরা নর্থবেঙ্গলের। গাইবান্ধা, রংপুর, বগুড়া, দিনাজপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জে তাদের বাড়ি। দারিদ্র্যের সুযোগ নিয়ে বিশেষ দল তাদের টাকা দিয়ে নিজেদের অনুসারী তৈরি করে।  মঞ্চে উপস্থিত নিহত সংসদ সদস্য লিটনের স্ত্রী খুরশিদ জাহান স্মৃতিমূলক বক্তব্য রাখতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে স্বামীর হত্যাকারীদের বিচার চান। গাইবান্ধার পুলিশ সুপার আশরাফুল ইসলামের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক মো. আবদুস সামাদ, গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক ও নিহত সংসদ সদস্য লিটনের বড় বোন আফরোজা বানু জ্যোৎস্না।

 

সর্বশেষ খবর