রবিবার, ২২ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

লাকসামে আগুনে পুড়ল দেড় শতাধিক দোকান

টঙ্গীতে তুলার গোডাউন ছাই

প্রতিদিন ডেস্ক

লাকসামে আগুনে পুড়ল দেড় শতাধিক দোকান

লাকসামে আগুনে পুড়ে ছাই দেড় শতাধিক দোকান —বাংলাদেশ প্রতিদিন

কুমিল্লার লাকসামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তিন মার্কেটে দেড় শতাধিক দোকান ভস্মীভূত হয়েছে। এতে প্রায় ২০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। অন্যদিকে টঙ্গীতে তুলার গোডাউনে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। প্রতিনিধিদের এ-সংক্রান্ত পাঠানো রিপোর্ট—

লাকসাম : শুক্রবার রাতে দৌলতগঞ্জ বাজারে মনিহারিপট্টি, স্বর্ণপট্টি ও কাপড়িয়াপট্টিতে আগুন লাগে। লাকসাম ফায়ার সার্ভিসসহ আটটি ইউনিট ৫ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

ফায়ার সার্ভিস ও ব্যবসায়ী সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত সোয়া ১১টায় লাকসাম পৌর শহরের দৌলতগঞ্জ বাজারের মনিহারিপট্টির একটি দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। হঠাৎ বিকট শব্দের পর একটি দোকানে আগুন দেখতে পান পথচারীরা। তারা কিছু বুঝে ওঠার আগেই আগুন টিনশেড দোকানগুলোয় ছড়িয়ে পড়তে থাকে। খবর পেয়ে লাকসাম ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট দ্রুত গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। কিন্তু মনিহারিপট্টি ও কাপড়িয়াপট্টিতে প্লাস্টিক, আতশবাজি এবং কাপড়ের গুদামে আগুন ছড়িয়ে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। পরে কুমিল্লা সদর, সদর দক্ষিণ, চৌদ্দগ্রাম, বরুড়া, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী ও চাঁদপুরের হাজীগঞ্জসহ সাতটি ইউনিট সেখানে যায়। তাদের সঙ্গে স্থানীয় লোকজন ও ব্যবসায়ীরা যোগ দেন। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রায় ৫ ঘণ্টা পর ভোররাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় জুয়েলারি মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি ও গণেশ জুয়েলারির মালিক সুভাষ বণিক এবং কাপড়িয়াপট্টির ডক্টর ক্লথ স্টোরের মালিক আবদুল কুদ্দুছ প্রাথমিকভাবে প্রায় ২০০ কোটি টাকা ক্ষতির কথা জানিয়েছেন। অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ পেয়ে স্থানীয় এমপি মো. তাজুল ইসলাম, জেলা সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল-মামুন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, লাকসাম পৌর মেয়র প্রফেসর আবুল খায়ের, সহকারী কমিশনার (ভূমি) তামান্না মাহমুদ, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল-মাহফুজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। লাকসাম ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোবারক আলী বলেন, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, টিনশেড ভবনে আগুন ছড়িয়ে পড়লে তীব্রতা আরও বেড়ে যায়।

ওসি আবদুল্লাহ আল-মাহফুজ জানান, আগুনে মনিহারিপট্টি, স্বর্ণপট্টি ও কাপড়িয়াপট্টিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

টঙ্গী : টঙ্গী মিলগেট নামাবাজার বস্তি এলাকায় গতকাল দুপুরে ভয়াবহ আগুন লাগে। এতে তুলার গোডাউনের মালামালসহ পাশের বস্তির শতাধিক ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বস্তিবাসী এ ঘটনায় তাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, দুপুর ১২টার দিকে জনৈক এলুর তুলার ঘর থেকে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগে। মুহূর্তে তা পাশের বস্তিঘরগুলোয় ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে টঙ্গী, উত্তরা, জয়দেবপুরসহ দমকল বাহিনীর আটটি ইউনিট গিয়ে প্রায় ২ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে অন্তত তিনটি গোডাউন, শতাধিক ঘর ও আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ বিষয়ে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার সেলিম মিয়া জানান, মিলগেট এলাকায় আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট গিয়ে কাজ শুরু করে। পানির সুব্যবস্থা না থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। তবে ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি।

সর্বশেষ খবর