গাজীপুরের কালীগঞ্জের এক মন্দিরে দুর্গা প্রতিমাসহ ৮টি মূর্তি ভাঙচুর করে সেগুলোতে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তবে পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।
মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি নেপাল বাবু সাংবাদিকদের জানান, কালীগঞ্জ উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের বড়গাঁও বাজার দুর্গা মন্দিরে শুক্রবার দিবাগত রাতে হানা দেয় দুর্বৃত্তরা। এ সময় তারা মন্দিরের বেড়া ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে এবং দুর্গা, সরস্বতী, কার্তিক, অশুর ও গণেশসহ মন্দিরের ৬টি মূর্তি ভাঙচুর করে। পরে তারা সেগুলোতে অগ্নিসংযোগ করে পালিয়ে যায়। এ সময় আরও দুটি মূর্তি ভাঙচুর করে। আগুনের শিখা দেখে বাজারের নৈশ প্রহরী ও স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আগুন নেভায়। তবে কাউকে আটক করতে পারেনি। আগুনে মূর্তির পোশাকসহ বিভিন্ন মালামাল পুড়ে যায় ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। খবর পেয়ে পরদিন শনিবার কালীগঞ্জ কাপাসিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পংকজ দত্ত, কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মু. মুশফিকুর রহমান ও কালীগঞ্জ উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি প্রণয় কুমার দাস ও মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি নেপাল বাবু ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রণয় কুমার দাস জানান, ওই বাজারের অধিকাংশ জমি এ মন্দিরের। কয়েকদিন আগে মন্দিরের কিছু জমি থেকে কয়েকজন অবৈধ দখলদারকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে কি-না তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এ ঘটনায় স্থানীয় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মু. মুশফিকুর রহমান বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মন্দির ও বাজার কমিটি এবং স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারদের সঙ্গে আলোচনা করে মন্দিরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
কালীগঞ্জ-কাপাসিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পংকজ দত্ত ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মন্দির ও বাজারে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় শনিবার বিকাল পর্যন্ত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হবে।