বুধবার, ৮ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

হোল্ডিং ট্যাক্স সফটওয়্যার নিয়ন্ত্রণে মার্কিন প্রতিষ্ঠান

চসিকের অন্দরে (২)

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

হোল্ডিং ট্যাক্স সফটওয়্যার নিয়ন্ত্রণে মার্কিন প্রতিষ্ঠান

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) হোল্ডিং ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যারটি (এইচটিএমএস) এখনো একটি মার্কিন প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণে। সফটওয়্যারটি ব্যবহার করায় ওই প্রতিষ্ঠানকে বছরে এক লাখ ৩৫ হাজার টাকা প্রদান করতে হয়। তবে বর্তমানে নিরাপত্তা ও গোপনীয়তার স্বার্থে ওই সার্ভারটি বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) সার্ভারে হোস্ট করার সুপারিশের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

রাজস্ব বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে চসিকের ট্যাক্স আদায়ের সফটওয়্যারটিতে মাইসক্যাল ডাটাবেজের বিনা মূল্যের ভার্সন ব্যবহার করা হচ্ছে। সফটওয়্যার প্রণয়নকালে সাধারণত ফ্রি ভার্সনই ব্যবহূত হয়ে থাকে। এটি নিয়ন্ত্রণ করছে মার্কিন প্রতিষ্ঠান পাবলিক ডুমেন রেজিস্ট্রার (পিডিআর)।

প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, চসিকের হোল্ডিং ট্যাক্সের সার্ভারটির হোস্ট এখনো আমেরিকান একটি প্রতিষ্ঠান। কারণ চসিকে যখন হোল্ডিং ট্যাক্স সার্ভার বসানো হয় তখন দেশে এ-জাতীয় দক্ষ কোনো প্রতিষ্ঠান ছিল না। তাই তখন আমেরিকান ওই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে            শুরু করা হয়েছিল। তবে এটি বিসিসির অধীনে আনার জন্য আমরা প্রক্রিয়া শুরু করছি। বিসিসি এখন দেশের সমৃদ্ধ একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। চসিকের আইটি কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইকবাল হোসাইন বলেন, ‘হোল্ডিং ট্যাক্সের বিষয়টি বিসিসির অধীনে আনতে মাননীয় মেয়র সম্মতি দিয়েছেন। বিষয়টি বাস্তবায়ন করতে দাফতরিক বিভিন্ন কাজের অগ্রগতিও হয়েছে। আশা করছি, খুব কম সময়ের মধ্যে এটি বিসিসির অধীনে আনা সম্ভব হবে।’ রাজস্ব বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এ বিভাগের আট সার্কেলে ১২৮ জন কর আদায়কারী, ৫৪ জন অনুমতিপত্র পরিদর্শক এবং ৩৮ জন উপকর কর্মকর্তা আছেন। কিন্তু এসব কর্মকর্তার অনেকেরই অটোমেশনের ক্ষেত্রে দক্ষতা নেই। ফলে অনেক কাজ এখনো সনাতন পদ্ধতিতে করা হচ্ছে। এ ছাড়া রাজস্ব বিভাগের ‘হোল্ডিং ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ অপারেটিংয়ে দক্ষ কর্মচারীরও অভাব রয়েছে বলে রাজস্ব বিভাগের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। জানা যায়, অদক্ষ ও অপ্রশিক্ষিত জনবল এবং করদাতাদের কর সম্পর্কে নিয়মকানুন না থাকার কারণে পৌরকর আদায়ে লক্ষ্য অর্জিত হয় না। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে পৌরকর দাবি ছিল ৩৩৭ কোটি ১৮ লাখ ৯৩ হাজার ৫৫২ টাকা। এর বিপরীতে আদায় হয় ১১২ কোটি ২৫ লাখ ৩০ হাজার ৪৩৫ টাকা। আদায়ের হার ৩৩ দশমিক ২৯ শতাংশ। একইভাবে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে পৌরকর দাবি ছিল ৩৪৭ কোটি ৬২ লাখ ১২ হাজার ৫৩ টাকা। বিপরীতে আদায় হয় ৭০ কোটি ৪৫ লাখ ৯০ হাজার ৫৪৭ টাকা (চলতি বছর ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত)। আদায়ের হার ২০ দশমিক ২৭ শতাংশ।

সর্বশেষ খবর