শুক্রবার, ৭ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা
রিয়াদ হত্যা মামলার রায়

তিনজনের ফাঁসির আদেশ, এক নারীর যাবজ্জীবন

গাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্র আবদুর রহমান ওরফে রিয়াদকে (২৫) অপহরণের পর হত্যার দায়ে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড এবং এক নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। গতকাল সকালে গাজীপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ কে এম এনামুল হক এ দণ্ডাদেশ দেন।

নিহত আবদুর রহমান রিয়াদ নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার নবীপুর গ্রামের আবুধাবিপ্রবাসী খাজা মাইন উদ্দিনের ছেলে। আদালতসূত্র জানায়, রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের প্রত্যেকের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত নারীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার জামতৈল গ্রামের মো. আবদুস ছামাদ মাস্টারের ছেলে মো. রেজাউল কারিম ওরফে সাগর, জামালপুর সদরের মোহনপুর গ্রামের সলিম উদ্দিনের ছেলে মো. জামাল উদ্দিন ও মৌলভীবাজার সদরের বেকামোড়া গ্রামের মো. ইয়াবর মিয়ার ছেলে মো. শাহাবুদ্দিন। যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত হলেন জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার বল্লভপুর গ্রামের সানজিদা আক্তার লিপি। সাগর ও লিপি স্বামী-স্ত্রী। গাজীপুরের কোর্ট ইন্সপেক্টর রবিউল ইসলাম জানান, প্রবাসী খাজা মাইন উদ্দিনের ছেলে রিয়াদ গাজীপুরের টঙ্গীর চেরাগ আলী মাতুব্বরবাড়ী রোডে মেসে ভাড়া থেকে উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে বিবিএতে লেখাপড়া করতেন। উত্তরার হাউস বিল্ডিং এলাকার এস এম মাতুল কোচিং সেন্টারে কোচিং করার সময় লিপির সঙ্গে তার পরিচয় হয়। লিপি বিবাহিতা ছিলেন। একপর্যায়ে ২০১৩ সালের ২৩ জুলাই চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বিয়াদকে লিপি তার স্বামী সাগরের কাছে তুলে দেন। পরে রিয়াদের প্রবাসী বাবার কাছে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। চাহিদামতো টাকা না পেয়ে আসামিরা রিয়াদকে হত্যা করে জামালপুরের একটি গাছে ঝুলিয়ে রাখেন। এ ঘটনায় রিয়াদের মামাতো ভাই অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট জাকির হোসেন ৩০ জুলাই টঙ্গী থানায় অপহরণের মামলা করেন। পরে মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে সাগরসহ তিন আসামিকে জামালপুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তারা রিয়াদকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ ও শুনানি শেষে আদালতের বিচারক রায় প্রদান করেন। রাষ্ট্রপক্ষে পিপি অ্যাডভোকেট হারিজউদ্দিন আহমেদ এবং আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট ওয়াহিদুজ্জামান আকন্দ, আবদুল জলিল ও জেবুন্নাহার মিনা মামলা পরিচালনা করেন।

সর্বশেষ খবর