বুধবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা
প্রধানমন্ত্রীকে রাজকীয় অভ্যর্থনা

ভুটানের সঙ্গে পাঁচ চুক্তি সই

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

রাজকীয় অভ্যর্থনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানিয়েছে ভুটান। তিন দিনের সরকারি সফরে গতকাল দুপুরে থিম্পু পৌঁছালে বিমানবন্দরে লাল গালিচা সংবর্ধনা ও রাজকীয় প্রাসাদে সাদরে বরণ করে নেওয়া হয় বাংলাদেশের নেতাকে। শেখ হাসিনাকে জাঁকজমকপূর্ণ রাজকীয় সংবর্ধনা দেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিল ও রানী জেটসান পেমা। গতকালই দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। পরে তাদের উপস্থিতিতে দ্বৈত কর প্রত্যাহার; বাংলাদেশের নৌপথ ভুটানকে ব্যবহার করতে দেওয়া; কৃষি, সংস্কৃতি ও পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে পাঁচটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করে ঢাকা ও থিম্পু। আজ বিকালে সফরের দ্বিতীয় দিনে প্রধানমন্ত্রী অটিজম বিষয়ে একটি আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে ভাষণ দেবেন।

কর্মকর্তারা জানান, শেখ হাসিনা ভুটানের পারো বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান দেশটির প্রধানমন্ত্রী তেসরিং তোবগে। এরপর জাঁকজমকপূর্ণ শোভাযাত্রার মাধ্যমে বাংলাদেশের  প্রধানমন্ত্রীকে পারো নগরী থেকে রাজধানী থিম্পুতে নিয়ে যাওয়া হয়। দুপুরের পর শেখ হাসিনাকে ভুটানের রাজপ্রাসাদ তাশিহোডজংয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেওয়া হয়। সেখানে ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিল ও রানী জেটসান পেমা তাকে রাজকীয় সংবর্ধনা দেন। প্রধানমন্ত্রী রাজপ্রাসাদের প্রধান ফটকে পৌঁছালেই তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যর্থনা জানানো হয়। পরে তাকে ভুটানের একজন মন্ত্রী ও সিনিয়র কর্মকর্তারা প্রাসাদের ভিতরে নিয়ে যান। এখানে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। পরে প্রধানমন্ত্রী ভুটানের রাজা ও রানীর সঙ্গে দর্শকদের সামনে উপস্থিত হন। প্রধানমন্ত্রী ভুটানের রাজা ও রানীর সঙ্গে কিছু সময় একান্তে কাটান। এ সময় ভুটানের রাজা ও রানী প্রথমবারের মতো তার ১৪ মাস বয়সী শিশুটিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেখান এবং তার পুত্রের ‘দাদি’ বলে সম্বোধন করেন। এরপর দুই প্রধানমন্ত্রী শীর্ষ বৈঠকে নেতৃত্ব দেন। থিম্পুর গ্যালয়ং শংখানে শীর্ষ বৈঠকের পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, দুই দেশের কানেকটিভিকে ধরে ব্যবসা ও বাণিজ্য বৃদ্ধির বিষয়টি বৈঠকে গুরুত্ব পেয়েছে। সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের ফলে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বেশকিছু সুবিধা হলো। বিশেষ করে দ্বৈত করের ক্ষেত্রে। এতে বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। পররাষ্ট্র সচিব বলেন, একাত্তরে বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদাতা দেশ ভুটানের সঙ্গে সব সময়ই বাংলাদেশের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। সেই সম্পর্ক ধরে রাখার জন্য ভুটানের রাজা বাংলাদেশকে একটা জমি দিচ্ছেন যেখানে বাংলাদেশের দূতাবাস গড়ে তোলা হবে। সে বিষয়ে আজ একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হবে। ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির বিষয়েও প্রধানমন্ত্রী ভুটানের সমর্থন চেয়েছেন বলে উল্লেখ করেন।

আজ সকালে শেখ হাসিনা রাজকীয় আপ্যায়ন হলে সম্মানিত অতিথি হিসেবে ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন অটিজম অ্যান্ড নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডারস’ শীর্ষক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

সর্বশেষ খবর