মঙ্গলবার, ৯ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা
লেবুতলার অভিযান সমাপ্ত

নিহত জঙ্গি ভয়ঙ্কর আবদুল্লাহ ও তুহিন

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহ সদরের কুমড়োবাড়িয়া ইউনিয়নের লেবুতলা গ্রামের জঙ্গি আস্তানায় পরিচালিত অভিযান শেষ হয়েছে। গতকাল দ্বিতীয় দিনের মতো পরিচালিত সাবটেইল স্পিলিট-২ নামের এ অভিযান চালানো হয় মৃত শরাফত মণ্ডলের বাড়িতে। এরই মধ্যে আগের দিন এ বাড়িতে নিহত দুই জঙ্গির পরিচয়ও পাওয়া গেছে। গতকালের অভিযানটি শুরু করা হয় সকাল ১০টা ২০ মিনিটে এবং শেষ করা হয় বেলা ১২টা ২৫ মিনিটে। অভিযানে খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি দিদার আহমেদের নেতৃত্বে অ্যাডিশনাল ডিআইজি হাবিবুর রহমান, ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, কাউন্টার টেররিজম ইউনিট, বোম ডিসপোজাল ইউনিট ও জেলা পুলিশ অংশ নেয়। পরে খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি দিদার আহমেদ প্রেস বিফ্রিংয়ে পুরো ঘটনার বিবরণ দিয়ে জানান, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার লেবুতলা গ্রামের জঙ্গি শামীমকে গত ৫ এপ্রিল গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ মহেশপুর উপজেলার বজরাপুর হঠাৎপাড়ায় জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পায়। শনিবার রাত থেকে ওই বাড়ির চারপাশে পুলিশ ও গোয়েন্দা বাহিনীর লোকজন এলাকাটি ঘিরে রাখে। পরে ১৪৪ ধারা জারি করে বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় এক জঙ্গি আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এবং আরেকজন পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে মারা যায়। আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে নিহত জঙ্গি সদর উপজেলার পোড়াহাটি গ্রামের ঠনঠনিয়া পাড়ার জঙ্গি আস্তানার মালিক চৈতন্য বাউতির পুত্র নব্য মুসলিম আবদুল্লাহ ও আরেকজন একই উপজেলার ধানহাড়িয়া-চুয়াডাঙ্গা গ্রামের আত্তাব উদ্দিনের পুত্র তুহিন। এরা নব্য জেএমবির সদস্য। একই দিন পুলিশ শামীমের দেওয়া তথ্য মতে, তার বাড়ি থেকে সাতটি গ্রেনেড, দুটি দেশি পিস্তল, ২ রাউন্ড গুলি, একটি বোমা ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করে পুলিশ। ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, মহেশপুরের বজরাপুর জঙ্গি আস্তনায় নিহত দুই জঙ্গির পরিচয় মিলেছে। তাদের মধ্যে একজন আবদুল্লাহ ও অপরজন তুহিন। ওই বাড়ির মালিক ও অন্য লোকজন লাশ দেখে আবদুল্লাহকে শনাক্ত করেন।

মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। দুজনের পরিবারের কাছে লাশ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে বাড়ির মালিক জহিরুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে তার ছেলে জসিমকে ২ নং আসামি করে মামলা করেছে। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার লেবুতলা গ্রামের গ্রেফতারকৃত শামীমের মা সুফিয়া বেগমকে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে তার ভাই হাসান গত দুদিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর