মঙ্গলবার, ১৬ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

কবিতার উচ্চারণে রবীন্দ্র-নজরুল

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

কবিতার উচ্চারণে রবীন্দ্র-নজরুল

কবিতার ছন্দে রবিঠাকুর ও নজরুলের জয়গান গেয়েছেন বাচিকশিল্পীরা। কণ্ঠের কারুকার্যের শৈল্পিকতায় সমগ্র মিলনায়তনকে রাবীন্দ্রিক ও নজরুলময় করে তোলেন তারা। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে ‘অন্য যুগের সখা যে বীণা রুদ্রবীণা’ শীর্ষক এই যৌথ আবৃত্তির আয়োজন করে আবৃত্তি সংগঠন স্বরচিত্র। শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে গতকাল সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত এই আবৃত্তি প্রযোজনার নির্দেশনায় ছিলেন মাহিদুল ইসলাম। সদ্যপ্রয়াত আবৃত্তিশিল্পী স্থপতি কাজী আরিফকে উৎসর্গ করা হয়েছে আয়োজনটি।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই আবৃত্তিশিল্পী রবিশংকর মৈত্রীর স্ত্রী নিলু রায়কে স্মরণ করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা নিয়ে ‘অন্য যুগের সখা’ প্রযোজনার শুরুতেই কবির ‘গীতাঞ্জলি’ থেকে দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করেন স্বরচিত্রের আবৃত্তিশিল্পীরা। অনুষ্ঠানে শিপ্রা রহমান পরিবেশন করেন ‘কৃপণ’, আবদুল হালিম ‘প্রতিজ্ঞা’, ফারহানা মিষ্টি ‘উদ্বোধন’, নাজমুন নাহার ‘গীতাঞ্জলি’, আনিসুর রহমান ‘কৃষ্ণকলি’, আসিফ আরমান ‘মেঘদূত’, তাসমি চৌধুরী ‘সবলয়’, তামান্না ডেইজি ‘বাঁশিওয়ালা’, শাওন আল আমিন ‘মেঘলা দিন’ এবং মাহিদুল ইসলাম ‘১৪০০ সাল’, ‘পরিচয়’, ‘বাঁশি’, ‘আফ্রিকা’, ‘সুপ্রভাত’ ও ‘পৃথিবী’ কবিতা আবৃত্তি করেন। এর পাশাপাশি নাজমুন নাহার ও শাম্মিরুন যৌথভাবে ‘বোঝাপড়া’ এবং মাহিদুল ইসলাম ও শাম্মিরুন শাম্মি যৌথ কণ্ঠে রবীন্দ্রনাথের বাণী পাঠ করেন। এরপর পরিবেশিত হয় নজরুলের কবিতাভিত্তিক প্রযোজনা ‘যে বীণা রুদ্রবীণা’। বৃন্দকণ্ঠে ‘সৃষ্টি সুখের উল্লাসে’ কবিতাটির মাধ্যমে শুরু হয় নজরুলকে নিয়ে আয়োজন। এতে ফারহানা মিষ্টি পরিবেশন করেন ‘আগুনের ফুলকি ছোটে’, তাসমি চৌধুরী ‘অভিযান’, আবদুল হালিম ‘হিন্দু-মুসলমান’, নাজমুন নাহার ‘কার বাঁশি বাজিল’, শফিকুল ইসলাম সোহাগ ‘আশান্বিতা’, আছাদুজ্জামান ‘ক্ষমা করো হযরত’, তামান্না ডেইজি ‘নারী’, আবদুল্লাহ মামুন ‘বাদল রাতের পাখি’, শাম্মিরুন শাম্মি ‘ফাল্গুনী’, আসিফ আরমান ‘প্রলয়োল্লাস’, তামান্না ডেইজি ‘ক্ষুদিরামের মা’, সাদমান আলিফ ‘প্রবর্তকের ঘুর চাকায়’ এবং মাহিদুল ইসলাম ‘কাণ্ডারি হুঁশিয়ার’, ‘সাম্যবাদী’, ‘আমার কৈফিয়ত’, ‘জাতের নাম বজ্জাতি’, ‘শাত-ইল-আরব’ ও ‘অভিভাষণ’।

মাহিদুল ইসলামের কণ্ঠে ‘বিদ্রোহী’ কবিতা পাঠের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এ আয়োজন।

চারুকলায় ‘ইন্টিগ্রিটি অব বেঙ্গল’ শীর্ষক প্রদর্শনী

বাংলাদেশ ও ভারতের ২০ জন নবীন শিল্পীর চিত্রকলাসহ নানা শিল্পকর্ম নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার জয়নুল গ্যালারিতে শুরু হয়েছে আট দিনব্যাপী প্রদর্শনী। এতে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশের ১৬ ও ভারতের ৪ জন শিল্পী। ২০টি চিত্রকর্ম, ১৪টি ছাপচিত্র, ৭টি ভাস্কর্য, ৪টি কারুশিল্প ও ৩টি সিরামিক ওয়ার্ক স্থান পেয়েছে প্রদর্শনীতে।

গতকাল বিকালে ‘ইন্টিগ্রিটি অব বেঙ্গল’ শীর্ষক এই প্রদর্শনীর উদ্বোধনীতে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।

এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন। অতিথি ছিলেন শিল্পী রোকেয়া সুলতানা, ইন্ডিয়ান হাইকমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি জিশনু প্রসন্ন মুখার্জি, আর্ট ক্রিটিক মুস্তফা জামান ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার সহযোগী অধ্যাপক রশীদ আমিন।

প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। ২২ মে শেষ হবে প্রদর্শনী।

সর্বশেষ খবর