শিরোনাম
সোমবার, ১২ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা

ইকবালের বিপরীতে খালেদা জিয়া!

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

ইকবালের বিপরীতে খালেদা জিয়া!

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে দিনাজপুরের ৬টি আসনেও দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। দিনাজপুর ১, ২, ৩, ৪, ৫ ও ৬ (সংসদীয় আসন ৬, ৭, ৮, ৯, ১০ ও ১১) এ আলোচনায় রয়েছেন কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থী। এর মধ্যে দিনাজপুর-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী তালিকায় নেতা-কর্মীদের মধ্যে আলোচনার শীর্ষে রয়েছে দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নাম। এ আসনে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী দলের কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ও বর্তমান হুইপ এম ইকবালুর রহিম এমপি। সর্বশেষ জোটগতভাবে এ আসনে জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান নির্বাচন করেন। এর আগে ওই আসনে নির্বাচন করেন খালেদা জিয়ার বোন বেগম খুরশিদ জাহান হক চকলেট। বিএনপি ও জোটের এই দুই প্রার্থীই ইন্তেকাল করেছেন। বিএনপি নেতা-কর্মীদের দাবি অনুযায়ী এ আসনে নির্বাচন করবেন বেগম খালেদা জিয়া।

দিনাজপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বর্তমান এমপি মনোরঞ্জনশীল গোপালের নামই বেশি শোনা যাচ্ছে। এ ছাড়া ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মো. আবু হোসাইন বিপু ও বীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জাকারিয়া জাকা ও সাবেক এমপি ও বীরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলামের নামও শোনা যাচ্ছে। এর আগে তিনি ১৯৯১ সালে এ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। এ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন বীরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি সভাপতি মনজুরুল ইসলাম মনজু। সেখানে জামায়াত সমর্থিত বীরগঞ্জ পৌর মেয়র মোহাম্মদ হানিফ এবং জাতীয় পার্টির বীরগঞ্জ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর ইসলামের নাম বলছেন কেউ কেউ। দিনাজপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান এমপি খালিদ মাহমুদই একক প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন। এরই মধ্যে এলাকার উন্নয়নে তিনি ফিরিস্তি তুলে ধরে বিভিন্ন সভা-সমাবেশ করছেন। আগামী নির্বাচনে দলের পক্ষে ভোটও প্রার্থনা করছেন। তার বিপরীতে এ আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক সেনাপ্রধান লে. জেনারেল মাহবুবুর রহমান (অব.) দলীয় মনোনয়ন পাবেন বলে নেতা-কর্মীদের বড় অংশই বলছেন। এ ছাড়াও বোচাগঞ্জ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম ও স্থানীয় নেতা সাদিক রিয়াজ চৌধুরী পিনাকের নামও শোনা যাচ্ছে। জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ড. আনোয়ার চৌধুরী জীবন ও স্থানীয় নেতা অ্যাডভোকেট জুলফিকার হোসেনের নামও আলোচনায় রয়েছে। দিনাজপুর-৩ আসনে বর্তমান হুইপ এম ইকবালুর রহিম এমপিই আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী। বিএনপির প্রার্থী হিসেবে নেতা-কর্মীদের মুখে মুখে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নাম। বিকল্প হিসেবে সাবেক মন্ত্রী মরহুমা বেগম খুরশিদ জাহান হক চকলেটের বড় ছেলে শাহরিয়ার আকতার হক ডন ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও দিনাজপুর পৌরসভার বর্তমান মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমের নাম শোনা যাচ্ছে। দিনাজপুর-৪ আসনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ছাড়াও আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মানুর নাম শোনা যাচ্ছে। অন্যদিকে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক এমপি আখতারুজ্জামান মিয়ার পাশাপাশি বিএনপি নেতা হাফিজুর রহমানের নাম শোনা যাচ্ছে। অন্যদিকে জাতীয় পার্টি (জাপা) ব্যবসায়ী সেকেন্দার আলী শাহ্ দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন। দিনাজপুর-৫ আসনে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী। বিএনপি থেকে জেলার আহ্বায়ক এ জেড এম রেজওয়ানুল হকও দলীয় মনোনয়ন চাইবেন। অন্যদিকে সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মনসুর আলী সরকার নির্বাচনে থাকার চেষ্টা করছেন। জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য ও সাবেক ছাত্রনেতা সোলায়মান সামিও সম্ভাব্য প্রার্থী। দিনাজপুর-৬ আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি মরহুম মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে বর্তমান আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শিবলি সাদিক আগামীতেও নির্বাচন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়াও  আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ড. আজিজুল হক চৌধুরী, নবাবগঞ্জ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান মনোনয়ন প্রত্যাশী। এই আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও ড্যাব মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এ কে এম জাহিদ হোসেন দলীয় টিকিট পেতে পারেন বলে জানা গেছে। এ ছাড়াও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক লুত্ফর রহমান মিন্টু। জামায়াতের জেলা আমির আনোয়ারুল ইসলাম ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও স্বপ্নপুরীর মালিক দেলোয়ার হোসেন প্রার্থী হতে তৎপরতা চালাচ্ছেন।

সংশোধনী : গত শনিবার বাংলাদেশ প্রতিদিনের শেষ পৃষ্ঠায় ‘নৌকায় একাধিক, ধান ও মশালে একক প্রার্থী’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভুলবশত ছাপা হয়েছে, আওয়ামী লীগ প্রার্থী মজাহারুল হক প্রধানকে পরাজিত করে মশাল প্রতীক নিয়ে এমপি হয়েছিলেন জাসদের (নাজমুল-আম্বিয়া) সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান। সঠিক তথ্য হলো, গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পঞ্চগড়-১ আসনে আওয়ামী লীগ কোনো প্রার্থী দেয়নি।

 

♦ আগামীকাল : নীলফামারীর সম্ভাব্য প্রার্থীদের তৎপরতা

সর্বশেষ খবর